চলমান টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পাঁচটি ম্যাচ পড়েছে দুপুরে। সূর্য যখন মধ্যগগনে থাকবে তখন মাঠে নামতে হবে মাহমুদউল্লাহদের। প্রতিটি ম্যাচ শুরু স্থানীয় সময় দুপুর ২টায়, বাংলাদেশ সময় ৪টায়। গরমে ক্রিকেটাররা কতটা সুস্থ থাকবেন, পারফর্ম করতে পারবেন সেগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে দলীয় খেলায় দলের লাভ মানে নিজের লাভ। দুপুরে খেলা হওয়াতে বাংলাদেশ সুবিধাই দেখছে। সেজন্য দলের প্রত্যেকেই খুশি।
দলের সঙ্গে থাকা নির্বাচক হাবিবুল বাশার জানালেন, আমিরাতে দিনের আলোয় খেলা হওয়াতে বাংলাদেশের স্পিনাররা ভালো সুবিধা পাবেন। বলে বেশি টার্ণ করাতে পারবেন। রাতের খেলায় শিশির ম্যাচে বড় প্রভাব রাখতে পারে। দিনে সেই সুযোগটি নেই। পেসার, স্পিনার দুই বিভাগের বোলাররা সহজেই বল গ্রিপ করতে পারবেন। রাতে খেলা হলে টস বড় ভূমিকা রাখত। দিনের খেলায় সেই সুযোগটি নেই। আবার ব্যবহৃত উইকেটে খেলার সম্ভাবনা থাকত। দিনের খেলার সেই সুযোগটি নেই। সতেজ উইকেটে খেলবে বাংলাদেশ।
সুপার টুয়েলভে অংশ নিতে শুক্রবার বিকেলে ওমান থেকে দুবাই পৌঁছেছে বাংলাদেশ। টিম হোটেলে চেক-ইনের পর হাবিবুল বাশার রাইজিংবিডিকে মুঠোফোনে বলেন, ‘দুপুরে খেলা হওয়ায় আমাদের সুবিধা হবে। বিশেষ করে স্পিনারদের সুবিধা হবে। বলে স্পিন করবে বেশি। আরো কিছু সুযোগ সুবিধাও আছে। যেগুলো সব হয়তো খালি চোখে বোঝা যাবে না। এসব কিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে দুপুরে খেলা হওয়াতে ভালো হয়েছে।’
সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের পাঁচটি খেলার মধ্যে দুটি করে খেলা শারজাহ ও আবুধাবিতে। শেষটি হবে দুবাইয়ে।
বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে হেরে গিয়েছিল। পরের দুইটিতে দাপটের সঙ্গে জিতে সুপার টুয়েলভে উঠে। হাবিবুল বাশার বিশ্বাস করেন, শেষ দুটি জয়ের আত্মবিশ্বাস মূল পর্বে কাজে আসবে,’প্রথম রাউন্ডে প্রথম ম্যাচটা আমাদের পরিকল্পনা মতো হয়নি। আমরা ভালো খেলতে পারিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে খুবই চিন্তিত ছিলাম, কারণ আমরা কেউই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হার মেনে উঠতে পারিনি। মানতে সবার কষ্ট হইছে। বাড়তি চাপতো ছিলই। তৃতীয় ম্যাচটা আমরা আমাদের সামর্থ্য দেখাতে পেরেছি। আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আমি মনে করি এটা সুপার টুয়েল্ভে কাজে দেবে।’