স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন,শিক্ষার্থীদের টিকাদানের আওতায় আনতে টিকা দেওয়ার বয়সসীমা ১৮ বছর করার প্রক্রিয়া চলছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের কোভিড-১৯ আইসিইউ এবং ওপিডি শেড উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্রোরা, নাসিমা সুলতানা ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি এ ব্যাপারে সরকারের কাছে পরামর্শ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। শিগগিরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশে বর্তমানে সব বিভাগেই করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। কিছু জেলায় স্থিতিশীল। টানা লকডাউনের ফলে বর্তমানে সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে। আমরা সাত দিনের জন্য সবকিছু খুলে দিয়েছি, শিথিল করেছি। কিন্তু এই সময়ে যদি ঘোরাঘুরি করা হয়, জনসমাগম বাড়ে, আমরা মাস্ক না পরি তাহলে আবারও সংক্রমণ বাড়বে।
মন্ত্রী বলেন, সারাদেশের ১৫ হাজার করোনা শয্যায় ৭৫ শতাংশ এখন রোগীতে পূর্ণ। একই অবস্থা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, মাস্ক পরতে হবে, তবেই সংক্রমণ কমবে। সংক্রমণের তীব্রতা না কমাতে পারলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও অর্থনীতি বিপর্যস্ত হবে। অন্যান্য খাতেও প্রভাব পড়বে।
তিনি বলেন, বর্তমানের মৃতদের বেশির ভাগই পঞ্চাশোর্ধ্ব ও সংক্রমিতদের অধিকাংশই পঞ্চাশের নিচে। রোগী বাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন হলে অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপনের কাজ চলছে।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, গ্রামের আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে আনতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। স্থানীয় প্রাশসনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগীদের চিহ্নিত করে হাসপাতালে আনা হবে।
তিনি বলেন, চীন থেকে সম্প্রতি ২০ লাখ টিকা এসেছে। এই টিকার বাইরে দেশটি থেকে আরও দেড় কোটি টিকা আসবে। পাশাপাশি কোভ্যাক্স থেকে চলতি মাসেই অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও মডার্নার টিকা আসবে।