ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা পেতে সুশাসনের নতুন শর্ত দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন- ইইউ। ২০২৪ সাল থেকে দশ বছর মেয়াদী পরিকল্পনার খসড়া ঘোষণা করেছে ২৭ দেশের জোট। বিশ্লেষকদের মতে, নতুন শর্ত দিলেও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নাক গলাবে না ইইউ।
ইউরোপের বাজারে বাণিজ্যে বিশেষ সুবিধার দর কষাকষিতে জিএসপি বা অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা সবসময়ই থাকে আলোচনার কেন্দ্র। শ্রমের মান কিংবা শ্রমধিকার অথবা পণ্য উৎপাদনে পরিবেশ রক্ষার মত শর্ত যেমন থাকে তেমনি ঘুরে ফিরে আসে মানবাধিবারের বিষয়ও আলোচনার টেবিলে।
তবে এবার ২০২৪ এর জানুয়ারি থেকে নতুন মেয়াদে এই চুক্তি নামায় যুক্ত হয়েছে সুশাসন কিংবা মানবাধিকারের মতো বিষয়। বাণিজ্য বিশ্লেষক আর কূটনৈতিকের কাছে প্রশ্ন ছিল কাজের পরিবেশের চেয়ে সুশানের শর্ত ইইউকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নাক গলানোর পথ তৈরি করবে কিনা।
বিশ্লেষকদের মতে পশ্চিমা বিশ্ব প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে মানবাধিকার কিংবা শ্রমমানের বিষয়ে শুধু জিএসপি নয় বিভিন্ন ফোরামে সোচ্চার বরাবরই। পরামর্শ তাদের বাজার ধরে রাখতে বাংলাদেশকে কৌশলি হবার।
গত বছর বাংলাদেশ সরকারকে দেয়া এক চিঠিতে ইইউ-এর পক্ষ থেকে তাই স্পষ্ট করেই মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার রক্ষার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করা হয়েছিল।