তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনবিচ্ছিন্ন দলই নির্বাচন বর্জনের কথা বলে। যাদের রাজনীতি জনগণনির্ভর, তারা নির্বাচন বর্জন করে না।
আজ সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে মন্ত্রী তার নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মিলনায়তনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের রাঙ্গুনিয়া শাখা আয়োজিত চেক ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
‘বিএনপি এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না, ২০ দলীয় জোট নিয়ে সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দিয়েছে’ এবিষয়ে জানতে চাইলে ড. হাছান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপি যে ২০ দলীয় জোট বলছে, সেই জোট থেকে বেশ কয়েকটি দল পালিয়ে গেছে। এখন ২০ দলীয় জোট যে কত দলীয় জোট, সেটি একটি পরীক্ষা নিরীক্ষার বিষয়। বিএনপি নেতারা যে বলছেন, সব দলকে নিয়ে আন্দোলন করবেন, তাদের মধ্যের ঐক্যটাই তো ভেঙে গেছে। ‘আগের নির্বাচনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও বর্জনের কথা বলেছিল, শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করবো, বিএনপি অতীতের মতো আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন বর্জনের দিকে যাবে না।
এর আগে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মিলনায়তনের অনুষ্ঠানে অনলাইনে দেয়া বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সকল ধর্মের মানুষের মিলিত রক্ত স্রোতে স্বাধীন বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কোনো স্থান নেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিশ্বাস করে ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। সেইমতে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি উত্তম কুমার শর্মার সভাপতিত্বে রাঙ্গামাটির জ্যোতিশ্বর বেদান্ত মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ অভেদানন্দ ব্রহ্মচারী অনুষ্ঠানে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন এবং আয়োজনটি উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক বেনু কুমার দে। কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিল্লোল বিশ্বাস, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার।