শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

চিকিৎসা না পেয়ে গর্ভবতী নারীর মৃত্যুতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : আগস্ট ৩১, ২০২২

দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের দেশ পর্তুগালে বেড়াতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া এক গর্ভবতী নারী চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় পদত্যাগ করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার মার্তা টেমিডো।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, অসুস্থ পড়ার পরও কোনো চিকিৎসা সেবা পাননি ওই নারী। এমনকি হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ড থেকে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। একপর্যায়ে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যান ওই নারী।

চিকিৎসা না পেয়ে পর্যটক গর্ভবতী নারীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন পর্তুগালের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ২০১৮ সালে পর্তুগালের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন ডাক্তার মার্তা টেমিডো। করোনা মহামারির মধ্যে পর্তুগালের স্বাস্থ্যখাত পরিচালনার কৃতিত্ব তিনি পেয়েছেন।

মঙ্গলবার পর্তুগালের সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, টেমিডো ‘বুঝতে পেরেছেন যে তার আর এই পদে থাকার কোনো অবস্থা নেই’। পর্তুগালের বার্তা সংস্থা লুসা অনুসারে, পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা বলেছেন, ভারতীয় ওই নারীর মৃত্যুর কারণে ডা. টেমিডো পদত্যাগ করেছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো আরও জানায়, লিসবনের সান্তা মারিয়া হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করার সময় গর্ভবতী ওই নারী পর্যটক মারা যান। কারণ এই হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটে কোনো জায়গা ফাঁকা ছিল না। অথচ সান্তা মারিয়া হাসপাতাল পর্তুগালের অন্যতম বৃহত্তম চিকিৎসাকেন্দ্র।

পর্তুগিজ ডাক্তার সমিতির প্রধান মিগুয়েল গুইমারেস বলেছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী টেমিডো পদত্যাগ করেছেন কারণ বর্তমান সংকট সমাধানের কোনো উপায় আর তার সামনে ছিল না।

মারা যাওয়া গর্ভবতী ওই নারীর বয়স ৩৪ বছর। তিনি ভারতীয় নাগরিক এবং সম্প্রতি পর্তুগালে ভ্রমণে গিয়েছিলেন। অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করার সময় কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হন বলে জানা গেছে।

চলতি গ্রীষ্মে পর্তুগালে চিকিৎসা সেবা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এবং এসব ঘটনার জন্য সমালোচকরা পর্তুগালজুড়ে প্রসূতি ইউনিটগুলোতে কর্মী সংকটকে দায়ী করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ