ছাত্রলীগের দুই কর্মীসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে হেনস্তার শিকার ছাত্রীর মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ জুলাই) চট্টগ্রামের চান্দগাও ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ জানান, এ ঘটনার মূল হোতা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আজিমকে রাঙ্গুনিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে এ ঘটনায় জড়িত শাওন, বাবু ও মাসুদ নামের আরো তিনজনকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতারকৃত চারজনের মধ্যে আজিম ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ও বাবু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ঘটনায় জড়িত আরো দুইজন এখনো পলাতক, তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক।
এর আগে শুক্রবার রাত ১টা থেকে হেনস্তায় জড়িতদের একজন হলে অবস্থান করছেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিপুল সংখ্যাক পুলিশ প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে শাহ আমানত হলে তল্লাশি চালায়। তবে ওই সময় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
এর আগে রবিবার (১৭ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হল সংলগ্ন এলাকায় কয়েকজন দুর্বৃত্তের হাতে শারীরিক হেনস্তার শিকার হন এক ছাত্রী। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা বন্ধুকেও মারধর করা হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোন। পরে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিলে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া জড়িত পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলাও করেছেন ওই শিক্ষার্থী।
এদিকে যৌন নিপীড়নের ঘটনার জেরে ছাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরই মাঝে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের হলে প্রবেশের ব্যাপারে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন করে ক্ষোভ দেখা দেয়। ছাত্রী হেনস্তা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বৃহস্পতিবার সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত বাবু নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও আজিম হোসেন (ইতিহাস বিভাগ, শিক্ষাবর্ষ ২০১৯-২০) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী বলে জানা গেছে।