বিরোধী দলশূন্য একদলীয় শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্যই গুমকে প্রধান অবলম্বন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জাতিসংঘের অধীনে সব গুমের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৩০শে আগস্ট) ‘আন্তর্জাতিক গুম দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ৩০শে আগস্ট ‘গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক গুম দিবস’ উপলক্ষে আমি হারিয়ে যাওয়া মানুষদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করছি। তাদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
তিনি বলেন, দেশে গুমের আতঙ্ক এখন সর্বত্র। দুঃশাসন থেকে উৎপন্ন হয় গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যার মতো মানবতাবিরোধী হিংস্রতা। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিচয়ে বিরোধী দলের প্রতিবাদী নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে যাওয়া এখন নিত্যকার ঘটনা। ভিন্ন মতের মানুষকে ভয় পাইয়ে দেওয়ার জন্যই এ কর্মসূচি জোরেশোরে বাস্তবায়ন করছে।
বিরোধী দলশূন্য একদলীয় শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্যই গুমকে প্রধান অবলম্বন করা হচ্ছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, এ নির্দয় গুমের শিকার হয়েছেন ছয় শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী। সাবেক মন্ত্রী ও দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে দুই মাস গুম করে রাখার পর পাচার করা হয়েছে পাশের দেশে। এ নতুন ধরনের ঘটনা দেশবাসীকে মহা আতঙ্কে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
গুমের অব্যাহত পরিস্থিতিতে দেশে ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানান বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, গুম হওয়া মানুষদের বেদনার্ত পরিবাররা এখনও পথ চেয়ে বসে আছে প্রিয়জনদের ফিরে আসার সম্ভাবনায়। গুম হওয়ার পর গুমের শিকার পরিবারগুলোর ওপরও চলতে থাকে সরকারি নির্যাতন। এ ধারা বয়ে চললে বাংলাদেশ আদিম অরণ্যের অন্ধকারে ডুবে যাবে। মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপন সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যাবে।
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মির্জা ফখরুল মনে করেন সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন হলেই গুম, অপহরণ, খুন ও বিচার বহির্ভূত হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ দূর হবে।