খুলনা জেলার ২৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, ১০টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং পাঁচটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দ্বিতীয় ধাপের অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১১৪ জন প্রার্থী।
রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউপিতে আওয়ামী লীগের আশরাফুজ্জামান বাবুল, শ্রীফলতলায় আওয়ামী লীগের ইসহাক সরদার ও টিএস বাহিরদিয়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর শেখ বিজয়ী হয়েছেন। এর আগে নৈহাটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের কামাল হোসেন বুলবুল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
ফুলতলা উপজেলার ফুলতলা সদর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা শেখ আবুল বাশার, জামিরায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সরদার মনিরুল ইসলাম, দামোদরে আওয়ামী লীগের শরীফ মো. ভূঁইয়া শিপলু, আটরা গিলাতলায় আওয়ামী লীগের শেখ মনিরুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মনোজিত বালা, মাগুরখালীতে আওয়ামী লীগের বিমল কৃষ্ণ সানা, খর্ণিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা শেখ দিদারুল ইসলাম দিদার, ধামালিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা জহুরুল হক, আটলিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা শেখ হেলাল উদ্দিন, ভান্ডারপাড়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গোপাল চন্দ্র দে, রুদাঘরায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. তৌহিদুজ্জামান, রংপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সমরেশ মণ্ডল, ডুমুরিয়া সদরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গাজী মো. হুমায়ুন কবীর বুলু, শোভনায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্য, শরাফপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শেখ রবিউল ইসলাম রবি, মাগুরঘোনায় আওয়ামী লীগের মো. রফিকুল ইসলাম হেলাল, গুটুদিয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শেখ তুহিনুল ইসলাম ও সাহস ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মো. মাহবুবুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন।
বটিয়াঘাটা সদর ইউপিতে আওয়ামী লীগের পল্লব কুমার বিশ্বাস, ভান্ডারকোট ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ওবায়দুল্লাহ শেখ ও সুরখালী ইউপিতে আওয়ামী লীগের এস কে জাকির হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।