খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকার প্রধানের বক্তব্য অনৈতিক ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার (৩১শে আগস্ট) সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবদলের দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেশে ন্যায় বিচার ভুলন্ঠিত হয়েছে উলেখ করে, ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া বিএনপি’র সামনে কোনো পথ খোলা নেই বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আজ ন্যূনতম চিকিৎসা থেকে তিনি (খালেদা জিয়া) বঞ্চিত হচ্ছেন। আজকে তাঁর চিকিৎসক যাঁরা আছেন, তাঁরা খুব পরিষ্কার করে বারবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বিদেশে একটা বিশেষায়িত হাসপাতালে তাঁর (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা হওয়া দরকার। কিন্তু এই দেশে এমন প্রধানমন্ত্রী বসে আছেন, যার মধ্যে ন্যূনতম রাজনৈতিক শিষ্টাচার নেই।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করেছে বলেও অনুষ্ঠানে অভিযোগ করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার (মিশেল ব্যাচেলেট) ফিরে যাওয়ার পরে আমাদের এখানে যাঁরা মন্ত্রী আছেন, তাঁরা প্রচার করেছেন যে, হাইকমিশনার নাকি মানবাধিকার সম্পর্কে কোনো কথাই বলেননি, এখানে মানবাধিকার নাকি খুব ভালো। সেই হাইকমিশনার অফিস থেকে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন যে, সরকারের মন্ত্রীরা সব মিথ্যা কথা বলেছে। এতে করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়েছে।’
জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত দোয়ার এই অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান এবং দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।