দেশে টিকার সংকট কাটিয়ে ওঠায় আজ থেকে আবারও শুরু হচ্ছে টিকার নিবন্ধন কার্যক্রম। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সেন্টারের (এমআইএস) পরিচালক ডাক্তার মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কৃষক-শ্রমিক, আইনজীবী, বিদেশগামী কর্মীসহ মোট ২৮ শ্রেণিপেশার মানুষকে নিবন্ধনের জন্য অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আগে যাঁরা নিবন্ধন করেছিলেন, তাঁরাও টিকা পাবেন। তবে নিবন্ধন ছাড়া এবং এসএমএস পাওয়া ব্যতীত কেউ টিকা পাবেন না। এ ছাড়া অনস্পট নিবন্ধন এবার থাকছে না বলেও জানান তিনি। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মৃত্যু ঠেকাতে এবার বয়সসীমা কমিয়ে এনেছে সরকার। আগে যেখানে ৪০ বছরের ওপরের ব্যক্তিরা টিকা নিতে পারতেন, এবার তা কমিয়ে ৩৫ বছরে আনা হয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছে, ফাইজারের মতো মডার্নার টিকার সংরক্ষণ জটিলতা থাকায় কেবলমাত্র সিটি করপোরেশন এলাকায় দেয়া হবে। আর সিনোফার্ম দেয়া হবে উপজেলা পর্যায়ে।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনের (গ্যাভি) মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মডার্নার ২৫ লাখ টিকা পায় বাংলাদেশ। এ ছাড়া চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ায় চীন থেকে সিনোফার্মের ২০ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে। ফলে আবারও নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে সাড়ে ১৪ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার সমাধান শিগগিরই হচ্ছে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মিক্সড ডোজের অনুমতি না পাওয়ায় সেরামের টিকা দিয়েই দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।
এদিকে কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান ও ইউরোপ থেকে ৩৫ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসবে বলে জানিছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ড. মোমেন বলেন, টিকা আনার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কোভ্যাক্স উদ্যোগের আওতায় জাপান থেকে ২৫ লাখ টিকা আসতে পারে। জাপান থেকে টিকা পাওয়ার বিষয়ে আমরা প্রত্যাশা করছি। তিনি বলেন, জাপানের কাছ থেকে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ২৫ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাবো বলে আশা করছি। এছাড়াও ইউরোপের কাছ থেকে বাংলাদেশ কোভ্যাক্সের আওতায় আরো ১০ লাখ টিকা পাবে। ইউরোপ আর জাপানের কাছ থেকে ৩৫ লাখ টিকা পাওয়া যেতে পারে।