আমরা অনেকেই সখের বশে পশু-প্রাণী পালন করি। কিন্তু সাবধান!
একটি নতুন গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে, কুকুরের তুলনায় পোষা বিড়াল করোনা আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বেশি সংবেদনশীল। যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা ইউনিভার্সিটির গবেষকরা সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই পোষা প্রাণী- কুকুর এবং বিড়ালের মধ্যে করোনা (সার্স-কোভ-২ ভাইরাস) সংক্রমণের ব্যাপারে নজর দিয়েছেন।
গবেষণায় আট শতাংশ বিড়ালের মধ্যে ভাইরাসটির অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে, অর্থাৎ বিড়ালগুলো আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। অন্যদিকে এক শতাংশেরও কম কুকুরের মধ্যে এই অ্যান্টিবডি মিলেছে। যার মানে, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে কুকুরের ঝুঁকি কম।
গবেষণাপত্রের সহ-লেখক হিনহ লি বলেন, ‘সহচর প্রাণীগুলো যেহেতু বিভিন্ন সংক্রামক রোগের উৎস হতে পারে, তাই সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই পোষা প্রাণী- কুকুর ও বিড়াল করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে কতটা সংবেদনশীল এবং তাদের মধ্যে এই ভাইরাস কতটা ছড়াতে পারে জানতেই আমাদের এই গবেষণা। কেননা বিষয়টি মানুষ ও প্রাণী উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।’
গবেষকরা ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে ২৩৯টি বিড়াল এবং ৫১০টি কুকুর থেকে সংগ্রহ করা রক্তের সিরাম বিশ্লেষণ করেন। অ্যান্টিবডির উপস্থিতি শনাক্তের জন্য নতুন দুটি সেরোলজিক্যাল টেস্ট করা হয়, কোনো প্রাণী আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল কিনা তা এই টেস্ট থেকে জানা যায়।
টেস্টের রেজাল্টে আট শতাংশ বিড়ালের রক্তের সিরামে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। অন্যদিকে এক শতাংশেরও কম কুকুরের রক্তের সিরামে এই অ্যান্টিবডি দেখা গেছে। গবেষকদের মতে, কুকুরের চেয়ে বিড়াল করোনায় বেশি সংবেদনশীল হতে পারে।
গবেষণাপত্রের অন্যতম লেখক ইউয়িং লিয়াং বলেন, ‘পোষা প্রাণী এবং তাদের মালিকদের মধ্যে করোনাভাইরাস ক্রস-প্রজাতি সংক্রমণ স্পষ্ট করতে সহায়তা করবে আমাদের গবেষণা।’ গবেষক দলটি এ বিষয়ে আরো নিশ্চিত হতে ফলোআপ গবেষণা শুরু করেছেন।
এর আগে নেদারল্যান্ডসের ইউট্রেচট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছিলেন, কুকুর এবং বিড়ালের মধ্যে করোনা সংক্রমণ সাধারণ ব্যাপার হতে পারে, যদি তাদের মালিক করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে প্রধান উদ্বেগের কারণ প্রাণীর হালকা উপসর্গ বা উপসর্গ না থাকা নয় বরং ভবিষ্যতে মানুষের ঝুঁকি রয়েছে।’