শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন

এম আর আজিমের মূল্যায়ন মূলায়ন চায় চট্টগ্রামবাসী

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : অক্টোবর ৭, ২০২২

এম আর আজিমের মূল্যায়ন মূলায়ন চায় চট্টগ্রামবাসী

চট্টগ্রামের জনপ্রিয় যুব সংগঠক, সাবেক মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি, যুব সমাজের আইকন খ্যাত যুবলীগ নেতা এম আর আজিমের রাজনৈতিক মূল্যায়ন চান চট্টগ্রামের সচেতন সর্বস্তরের মানুষ।
চট্টলবীর খ্যাত, সাবেক জনপ্রিয় প্রয়াত মেয়র আলহাজ্ব মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী এম আর আজিম চট্টগ্রামের মানুষের কাজ করে আসছেন বহু দিন ধরে।আসন্ন যুবলীগের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে তাকে দেখতে চায় চট্টগ্রামের মানুষ।
কারণ অনেকেই মনে করেন লড়াই, সংগ্রাম আর মানবিক কাজের জন্য এম আর আজিমের মতোন ত্যাগী নেতাদের দলের জন্য খুবই প্রয়োজন।
যেহেতু আগামী বছর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সেহেতু বিরোধী দল চাইবে যেভাবেই হোক আন্দোলন করে মাঠ চাঙা রাখতে। শুধু তাই নয় দলের রাজনৈতিক অতীত ইতিহাস বলে মাঠের রাজনীতির বদলে হয়ে থাকে জ্বালাও পোড়াও আর আগুন সন্ত্রাস।
এজন্য জনপ্রিয় নেতা এম আর আজিম বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন। কারণ রাজনৈতিক মাঠে রয়েছে তার সুখ্যতি।
এম আর আজিমকে সবাই স্বচ্ছ মানুষ হিসেবে চিনে। দল ক্ষমতায় থাকলে কারোর কারোর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও এম আর আজিম তার ব্যতিক্রম।ভিন্ন রাজনৈতিকদের কাছেও তার গ্রহণযোগ্যতা আছে।দলের প্রয়োজনে সবসময় রাজপথে থাকা তার নেশা হয়ে গিয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে চলতি বছরের ৩০ মে। ধুমধাম করে সম্মেলন হলেও বঞ্চিতরা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারেন- এমন আশঙ্কায় সম্মেলনে কমিটি ঘোষনা করা হয়নি। কেন্দ্র থেকে কমিটি করে দেওয়ার দায়িত্ব নেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
শুধু নগর যুবলীগই নয়, একই অবস্থা চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগেও। এই দুই সাংগঠনিক জেলায় সম্মেলন হলেও কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।
চলতি গত ২৮ মে অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সম্মেলন, ২৯ মে হয় উত্তর জেলা যুবলীগের সম্মেলন এবং ৩০ মে অনুষ্ঠিত হয় মহানগর যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনের আগে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদ পেতে আগ্রহীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করেন সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা।
জানা গেছে, আগে সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদে যারা নেতৃত্বে ছিলেন না তাদের বায়োডাটা জমা দেওয়ার সুযোগ এবার রাখা হয়নি। এ কারণে গণহারে বায়োডাটা জমা পড়েনি। আবার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর নতুন করে কেউ বায়োডাটা জমা দেওয়ারও সুযোগ পাচ্ছেন না। বর্তমান নেতৃত্বের এমন কঠোর মনোভাবের কারণে আগামীতে যুবলীগে যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসবে এবং গণতান্ত্রিক চর্চার সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়। দুইটি গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রায় এক হাজার বায়োডাটা জমা পড়েছিল। কোনো দিন স্বেচ্ছাসেবক লীগ করেননি, আবার কখনও সংগঠনের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদেও ছিলেন না-এমন ব্যক্তি নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন। এ নিয়ে সাধারণ নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। এ ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের অর্থের লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ। তাই চট্টগ্রামে যুবলীগের তিন সাংগঠনিক ইউনিট থেকে নেতাদের বায়োডাটা আহ্বান করার পর থেকে সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে তিনটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহীদের বায়োডাটা আহ্বান করে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। ২ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত তিন দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তিন দিনে দুই শতাধিক বায়োডাটা জমা পড়েছে। মহানগর যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে ১০৮ নেতা বায়োডাটা জমা দেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৩৫ ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৭৩ জন বায়োডাটা জমা দেন। দক্ষিণ জেলায় সভাপতি পদে ১৩ ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩৯ জন বায়োডাটা জমা দেন। একইভাবে উত্তর জেলায় সভাপতি পদে ৯ ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২২ জন বায়োডাটা জমা দেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দুই শতাধিক নেতা বায়োডাটা জমা দিলেও প্রতিটি ইউনিটে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিযোগিতা হবে। ত্যাগী নেতারা প্রতিযোগিতার অগ্রভাগে থাকবেন।
অনেকেই মনে করেন যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে এবার দেখা যেতে পারে যুব সংগঠক এম আর আজিমকে।
এম আর আজিম মানবিক নেতা হিসেবেও বেশ পরিচিত।
রমজান উপলক্ষে রোজাদারদের মধ্যে মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এম আর আজিম। গত রমজান মাসপ প্রায় ৬ হাজার মানুষের মাঝে এসব ইফতার বিতরণ করেন এম আর আজিমের অনুসারীরা।

চট্টগ্রামের জিইসি মোড় এলাকায় হোটেল জিইসি প্যালেসের সামনে প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে এসব ইফতার বিতরণ করেন তিনি।

এ বিষয়ে জনপ্রিয় যুব সংগঠক এম আর আজিম বলেন,আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী। বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ধারণ করে আছি।আমার বিশ্বাস যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ভাই ও সাধারণ সম্পাদক নিখিল ভাই আমার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বিবেচনায় নিয়ে আমাকে যথাযথ স্থানে মূল্যায়িত করবেন।
আজিম বলেন আমি আমার শীর্ষ নেতাদের প্রতি আস্থাশীল। নিশ্চিয় ভালো কিছুই হবে ইনশাআল্লাহ।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ