জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্ট্যাটাসে ভুল তথ্য থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকেই। কারও স্ট্যাটাসে দেওয়া হয়েছে পাগল, আবার কারও ইমাম। প্রকৃত পক্ষে না তারা ইমাম না তারা পাগল।
ভুক্তভোগিদের অনেকেই জানিয়েছেন, সরকার করোনার টিকা এনআইডি ভিত্তিতে দেওয়া শুরু করলে এই সমস্যায় পড়েন অনেকে। কেননা, যাদের স্ট্যাটাস পাগল, তাদের টিকা কার্ড হচ্ছে না। আর এর সমাধান পেতে ভূক্তভোগীতে ধরনা দিতে হচ্ছে নির্বাচন অফিসে।
ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, অন্যান্য পেশাজীবিদের স্ট্যাটাস পরিবর্তন সহজ হলেও বিড়ম্বনায় পড়েছেন পাগল স্ট্যাটাসধারীরা। কেননা, যথাযথ কর্তৃপক্ষের সার্টিফিকেট বা আদালত থেকে স্বীকৃতি ব্যতিত তাদের স্ট্যাটাস পরিবর্তন করা হচ্ছে না।
সম্প্রতি জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইসিতে এমন একটি আবেদন ফরোয়ার্ড করেছেন। এতে ওই ব্যক্তি লিখেছেন, আমার এনআইডিতে ভুলবশত অপ্রকৃতিস্থতা ফরম পূরণ করা হয়েছে। যার কারণে আমি এনআইডি সংক্রান্ত কোনো সেবা পাচ্ছি না।
একই সমস্যায় পড়েছেন ইউল্যাবের বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী। তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুর থাকা নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে ইসিতে আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, অনেকেই কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে ভোটার হচ্ছেন। ফলে দোকানী হয়তো সঠিকভাবে ফরম পূরণ করছেন না। আর যিনি ভোটার হওয়ার আবেদন করছেন, তিনিও খেয়াল করছেন না। ফলে ম্যাডনেস স্ট্যাটাস চলে আসছে। ভূক্তভোগী অনেকেই এসে শিকার করছেন, তারা দোকান থেকে নিবন্ধন ফরম পূরণ করেছেন।
এদিকে যেসব নাগরিকদের এনআইডিতে পাগল স্ট্যাটাস রয়েছে, তারা টিকা নিতে পারছেন না। এই সমস্যার কারণে কেউ যাতে টিকা প্রাপ্তিতে বঞ্চিত না হন, তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া ভোটার নিবন্ধন ফরম থেকে ম্যাডনেস অপশনটি তুলে দেওয়ারও চিন্তা ভাবনা আছে।
জানা গেছে, এক হাজারের মত আবেদন পড়েছে পাগল স্ট্যাটাস পরিবর্তনের জন্য। এর মধ্যে প্রায় ৫শ আবেদন গ্রহণ করে সংশোধন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসির এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর বলেন, আমি কি বলতে পারি কে পাগল, আর কে পাগল নয়? এটা বলতে পারে একজন ডাক্তার বা আদালত। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সনদ বা স্বীকৃতি আনলে আমরা সেটা পরিবর্তন করে দিচ্ছি।