চরম অর্থনৈতিক সংকটে তীব্র গণবিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কার সরকারের পতন ঘটেছে। মূলত ঋণ খেলাপি হওয়ার পর থেকেই সংকট নেমে এসেছে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে। ঋণ খেলাপির তালিকায় শ্রীলঙ্কা ছাড়াও আছে লেবানন, রাশিয়া, সুরিনাম এবং জাম্বিয়া। বেলারুশও ঋণ খেলাপি হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। আরও ডজনখানেক দেশ ক্রমবর্ধমান ঋণের খরচ ও মুদ্রাস্ফীতিসহ বিভিন্ন কারণে অর্থনৈতিক পতনের আশঙ্কায় রয়েছে।
অর্থনৈতিক সংকটের মুখে থাকা দেশের তালিকার শীর্ষে আছে আর্জেন্টিনা। এর পরই রয়েছে মিশর ও ইকুয়েডর। আর্জেন্টিনার মুদ্রা পেসো এখন কালোবাজারে প্রায় ৫০% ডিসকাউন্টে লেনদেন হচ্ছে। দেশটির রিজার্ভের অবস্থাও ভালো না। দেশটিতে ডলারে মাত্র ২০ সেন্টে বন্ড বাণিজ্য হয়।
রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে ইউক্রেনকে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ঋণ পুনর্গঠন করতে হবে বলে মরগান স্ট্যানলি এবং আমুন্ডির মতো হেভিওয়েট বিনিয়োগকারীরা সতর্ক করেছেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ১ দশমিক দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বন্ড পেমেন্ট বাকি থাকায় এই সংকটের শুরু হয়।
পাকিস্তান চলতি সপ্তাহে আইএমএফের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করেছে। তবে অগ্রগতি আরও সময়োপযোগী নাও হতে পারে। উচ্চ আমদানি মূল্য দেশটিকে অর্থপ্রদানের ভারসাম্য সংকটের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা মাত্র পাঁচ সপ্তাহের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে। পাকিস্তানি রুপি দুর্বল হয়ে রেকর্ড পরিমাণে নেমে এসেছে। নতুন সরকারকে এখন দ্রুত ব্যয় কমাতে হবে কারণ দেশটি মোট রাজস্বের ৪০ শতাংশ সুদ দিতে ব্যয় করে।
এছাড়াও শ্রীলঙ্কার মতো পরিণতির আশঙ্কায় রয়েছে তিউনিশিয়া, ঘানা, ইকুয়েডর,এল সালভেদর, মিশর, কেনিয়া ও নাইজেরিয়া। সূত্র: রয়টার্স