প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের এনামুল হক গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন নিয়ে হয়েছিলেন বিদ্যাকুট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। নৌকার মনোনয়ন নিয়ে চেয়াম্যান হলেও পরে নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীকে জিতাতে ভূমিকা রাখেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে নৌকার পোস্টার পুড়িয়ে দেওয়া এনামুল আবারও সেই নৌকার হয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মরিয়া। এনামুলের নৌকা পেতে দৌড়-ঝাঁপে নেতাকর্মীসহ এলাকাবাসীর মাঝে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ।
অভিযোগ রযেছে, নবীনগরের সাবেক এমপি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ আকবর উদ্দিন সিদ্দিকের পুত্র জহিরউদ্দিন সিদ্দীক টিটুকে যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা মার্কা তুলে দিয়েছিলেন তখন এনামুল হক সরাসরি উপজেলা নির্বাচনে গত নৌকার বিরুদ্ধের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার করে সবাইকে অবাক করে দেন। এ নিয়ে দলের তৃণমুল থেকে শুরু করে সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা মনে করেন এবার যদি তাকে নৌকা প্রতীক দেয়া হয় তবে নৌকা মার্কার অবমূল্যায়ন হবে।
এবিষয়ে বিদ্যাকুট ইউনিয়নের বাসিন্দা শামীম চৌধুরী এই প্রতিবেদকে বলেন, নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, নৌকা আওয়ামী লীগের প্রতীক। তিনি বলেন গত উপজেলা নির্বাচনে যে নৌকা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেয়ার পরও এনামুল হক বিরোধীতা করেছে সে এখন কি করে নৌকা মার্কায় চেয়ারম্যান হতে চায় সেটাই বুঝতে পারছি না।
তিনি বলেন, আমরা এনামকে কোন মতেই মেনে নিবো না। কারণ এনামুল হক এনাম নৌকার বিরোধীতা করার কারণে উপজেলা নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে। সুতরাং যে এনাম আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করেছে সে কোন মতেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারে না। এবার কেন্দ্র যদি এনামূলের মত বেঈমানের হাতে নৌকা তুলে দেয় তবে তা হবে আমাদের মতোন ত্যাগী নেতাদের জন্য আত্মঘাতি।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন , উপজেলা নির্বাচনের সময় তিনি নিজের হাতে নৌকার পোস্টার ছিঁড়ে কটুক্তি করে উল্লাস প্রকাশ করেছেন। শুধু তাই নয়, বিদ্যাকুট ইউনিয়নের বিদ্যাকুট গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ পশ্চিম পাঁড়ার আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক খ্যাত সংখ্যালঘুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট না দিতে তাদের প্রভাব সৃষ্টি করে হুমকি ধমকি দেন। তার কারণে অনেকে এখন মামলা হামলায় জর্জরিত।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সারা দেশে ভ‚মিহীন মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিনামূল্যে ঘর দেওয়ার প্রকল্পটি সারাদেশে বেশ প্রশংশিত হলেও নবীনগরের বিদ্যাকুট ইউনিয়নে এনামুলের কমিশন বাণিজ্যের কারণে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়েছে। প্রায় দুইশতাধিক সরকারি ঘর বরাদ্দ এনে এনামূল হক এনাম কমিশন বানিজ্যের মাধ্যমে ঘর বিতরণ করেছে। হাতিয়ে নিয়েছেন কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা।
এনামুল হক এনাম মাত্র ৫ বছরের ব্যবধানে করেছেন আলিশান বাড়ি, করেছেন রেস্টেুরেন্ট, বেশ কয়েকটি গাড়িতে রয়েছে তার নামে বেনামে প্রচুর সম্পদ। এনামের দ্বিমুখী আচরণের জন্য নবীনগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে সাবেক ও বর্তমান এমপিগণও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
আসন্ন্ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি এবার চান আওয়ামী লীগের ব্যানারে নৌকার মনোনয়ন। অথচ তার চেয়ারম্যান হওয়ার পর তার ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতা কর্মীরা হয়েছেন ঘরছাড়া। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদমা করে করেছেন নাজেহাল। অনিয়ম স্বজন প্রীতির মা ইউনিয়নে পুরো ৫ বছর চালিয়েছেন অনিয়মের স্বর্গরাজ্যে।
থানা সুত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান এনামুল হকের বিরুদ্ধে নবীনগর থানা