কুরবানির ঈদে মানুষের সঙ্গে ঢাকার দূষণও যেন ছুটিতে গেছে। ১৩ জুলাই দুপুর ৩টা পর্যন্ত, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইকিউ বায়ুমান সূচকে রাজধানীর অবস্থান ছিল ৪১ এ। যানজটহীন সড়কে কালোধোঁয়ারাও যেন বিদায় নিয়েছে। পরিবেশের এই নির্মলতায় অনেকেরই তাই মেজাজ ফুরফুরে। তীব্র গরম উপেক্ষা করেই ভর দুপুরেও কেউ কেউ বেড়িয়েছেন ঘুরতে।
সাধারণ মানুষেরা বলেন, আমরা সবসময় জানি ঢাকা একটি দূষিত নগরী। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ঢাকা স্বর্গের নগরী। আমরা এখন শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারছি। মনেই হচ্ছে না আমরা ঢাকায় আছি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইকিউ বৈশ্বিক বায়ুমান সূচক বলছে, ১৩ জুলাই দুপুর ৩টা পর্যন্ত ঢাকার অবস্থান ছিল ৪১। অর্থাৎ বায়ুদূষনের মাত্রা সহনীয় । সাধারণত ১-৫০ এর মধ্যে থাকাদের ভালোর কাতারে ধরা হয়।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আহমাদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ঈদের আগের দিনও ১০৫ থেকে ১১০ পর্যন্ত বায়ুমান সুচক ছিল সেখানে ঈদের দিন থেকে পরের দুই দিন তা কমে ৬০ থেকে ৭০ এ নেমে এসেছে।
ঈদের ছুটিতে ঢাকায় বন্ধ থাকে উন্নয়নকাজ, কলকারখানা। কমে আসে যানবাহনের সংখ্যা। পরিবেশবিদরা জানান, এতেই সহনীয় পর্যায়ে থাকে বায়ুদূষণ ।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল ক্লিনার অ্যাক্টকে বাস্তবায়নের দিকে না নিয়ে না করে উল্টো ক্লিনারের জন্য একটি রুলস তৈরি করার যে প্রচেষ্টা এগিয়ে গেলো এতে মনে হয় সরকারের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। বায়ুদূষণ রোধে কঠোর আইন প্রনয়ণের ওপর এখনোই জোর দেয়া উচিত।