দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার মধ্যেই দেড়শো আসনে ইভিএম ব্যবহারের ঘোষণা আসে নির্বাচন কমিশন থেকে। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে সরকারি দল স্বাগত জানালেও নাখোশ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।
ইভিএম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মাঝে বুধবার (২৪ আগস্ট) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী নির্বাচনে সংসদের অর্ধেক আসনে ইভিএমে ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত স্বাগত জানিয়েছে তার দল। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মনে করেন, যারা কারচুপির পক্ষে, তারাই কেবল ইভিএম চায় না।
এদিকে নয়াপল্টনে যৌথসভা শেষে বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, সরকারের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন ইভিএম নিয়ে রফা করেছে। এতে প্রমাণ হয়েছে নির্বাচন কমিশন সরকারের অংশ। তারা (ইসি) সরকারের হয়ে কাজ করছে।
এ সময় ফখরুল দাবি করেন, ইভিএম নয়, ভোট হতে হবে ব্যালটে। তবে তার আগে সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
এমন পরিস্থিতিতে বুধবার অনিবন্ধিত কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে কমিশনে যান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরবর্তী নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে।
বৈঠক শেষে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, দেড়শো আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত ভুল হয়েছে। এতে আস্থা থাকবে না। ইসি ৩০০ আসনেই ইভিএম ব্যবহার করতে পারে, তবে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রতিটি আসনে পাঁচটি কেন্দ্রে। এ সময় তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন, আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়েও।
পরে সাংবাদিকদের মুখামুখি হন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। দাবি করেন, কোন একক দলের সমর্থন বা বিরোধিতায় নয়, সব দলের মতামতের ভিত্তিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেড়শো আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইভিএমে কারচুপি হয় বা ভোট অন্য প্রতীকে চলে যায় সেরকম প্রমাণ কেউ দেখাতে পারেনি।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত ইসির সংলাপে ২২টি দলের মধ্যে নয়টি দল সরাসরি ইভিএম ব্যবহারের বিপক্ষে মত দেয়। আওয়ামী লীগসহ চারটি দল ইভিএমে ভোট চেয়েছে। আর সংলাপ বর্জন করে বিএনপিসহ নয়টি দল।