রাজধানীর নারিন্দা এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদক মিশ্রিত বিপুল পরিমান সালশার বোতল উদ্ধার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে (২৪শে আগস্ট) এই অভিযানে মাদক বিক্রি ও তৈরির কাজে জড়িত ৬জনকে আটক করা হয়। র্যাবের মিডিয়া উইং এর পরিচালক জানান, ফার্মেসি ব্যবসার আড়ালে আয়ুর্বেদিক ওষুধ সালশার সাথে ইয়াবা, গাজাসহ বিভিন্ন মাদক মিশিয়ে বিক্রি করা হতো। যা খেলে কিডনি বিকল হওয়াসহ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।
পুরান ঢাকার নারিন্দা এলাকায় আয়ুর্বেদিক ওষুধের নামে মাদকের কারখানার সন্ধান পায় র্যাব। ওই কারখানায় আয়ুর্বেদিক ওষুধ সালশার সাথে মাদক মেশানো হতো। মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় একটি বাড়িতে থাকা কারখানাটিতে অভিযান চালিয়ে বিপ্লু পরিমান মাদক মিশ্রিত সালশার বোতল উদ্ধার করা র্যাব।
এসময়, মাদক তৈরি ও বিক্রির অপরাধে ৬ জনকে আটক করা হয়। গাজা, ইয়াবার গুড়া ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটের মিশ্রনে তৈরি হতো এসব মাদক। যা খেলে কিডনি বিকল হতে পারে। মঙ্গলবার রাতেই এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, অভিনব এই মাদকের উদ্ভাবক হেকিম মোগাম্মদ নাঈম। আয়ুর্বেদিক ফার্মেসি ব্যবসার আড়ালে দু’বছর ধরে এসব মাদক বিক্রি করে আসছিলো সে। ঢাকা শহরেই তার ৬ থেকে ৭ টি সালসা বিক্রির দোকান আছে। তবে, হেকিমকে গ্রেপ্তার করা না গেলেও তার ছেলে শান্তকে আটক করা হয়েছে।
র্যাবের মাদকবিরোধী অভিযান আরও জোরদার হয়েছে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।