চীনের সিনোফার্মের তৈরি করোনা টিকার প্রথম চালান আজ (শুক্রবার) রাতে আসছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চীন থেকে কেনা টিকার এটাই প্রথম চালন।
বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে মডার্নার পাশাপাশি সিনোফার্মের টিকাও আসবে। শুক্রবার রাত সাড়ে বারোটা। আন্তর্জাতিক হিসাবে ৩ তারিখ পড়ে। আর আমাদের হিসাবে ২ তারিখ দিবাগত রাত। তবে কত ডোজ টিকা আসবে সেটা বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে বলেছে প্রথম লট।
এসব টিকা আসলে টিকাদান কর্মসূচী আবার পুরোদমে শুরুর কথা জানান মহাপরিচালক।
এর আগে চীনের উপহার হিসেবে গত ১২ মে ৫ লাখ ডোজ এবং ১৩ জুন ৬ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা এসেছে।
এবারের টিকা আসবে সরকারের সঙ্গে টিকা কেনা চুক্তির আওতায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ২৫ মে জানিয়েছিলেন চীন থেকে কেনা হবে দেড় কোটি ডোজ টিকা।
দুদিন পর ২৭ মে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সিনোফার্মের প্রতি ডোজ ১০ ডলার দরে দেড় কোটি ডোজ টিকা কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় সরকার।
সিনোফার্মের এই চালান এলে তা হবে বাংলাদেশের কেনা দ্বিতীয় কোম্পানির টিকা।
এর আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে ভারতের সেরাম ইনস্টিউটের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল।
এই টিকার দুটি চালানও এসেছিল। তবে ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে মহামারী পরিস্থিতি বিপর্যকর পর্যায়ে ঠেকলে দেশটি টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।
এতে বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয় এবং ২৫ এপ্রিল প্রথম ডোজ দেওয়া স্থগিতও করা হয়।
এরপর সরকার টিকা সংগ্রহে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে জোরেশোরে যোগাযোগ শুরু করে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সিনোফার্মের কেনা টিকার প্রথম চালান আসছে শুক্রবার।
এদিকে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার তৈরি করোনাভাইরাসের ২৫ লাখ ডোজ টিকার একটি চালানও দেশে এসেছে পৌঁছাবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
পরদিন শনিবার আন্তর্জাতিক টিকার প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া এই টিকার দ্বিতীয় চালান আসবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম।
তিনি জানান, মর্ডানার তৈরি ১২ লাখ ডোজ টিকার প্রথম চালান নিয়ে একটি ফ্লাইট শুক্রবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামবে। পরদিন বাকি ১৩ লাখ ডোজ টিকার চালান আসবে।
মডার্নার টিকা পৌঁছুলে এটা হবে বাংলাদেশে আসা করোনাভাইরাসের চতুর্থ টিকা।
এর আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার-বায়োএনটেক এবং চীনের সিনোফার্মের টিকা এসেছে বাংলাদেশে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড দিয়ে দেশে শুরু হয় টিকাদান কর্মসূচী। এপ্রিলে ভারত থেকে এই টিকার নতুন চালান না এলে টিকা দেওয়া স্থগিত করা হয়।
পরে চীনের উপহার দেওয়া সিনোফার্ম এবং কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও জার্মানির বায়োএনটেকের ফাইজারের টিকা এলে দেশে আবার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।