প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরেছেন, জনগণের শক্তি হচ্ছে বড় শক্তি। দেশের মানুষ পাশে দাঁড়িয়েছিল বলেই পদ্মা সেতু তৈরি করতে পেরেছি। আজ (শনিবার) মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমি যেকোনো ত্যাগ করতে প্রস্তুত। নিঃস্ব আমি, রিক্ত আমি, দেওয়ার কিছু নেই। আছে শুধু ভালোবাসা, দিয়ে গেলাম তাই।
তিনি বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে দেশকে গড়ে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার স্বপ্ন ছিল এদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। অথচ পচাত্তরে সপরিবারে তাকে হত্যা করা হলো। আমি আর রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে গেলাম।
তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরে আসি। আমার মূল লক্ষ্যই জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করা। এদেশের মানুষকে উন্নত, সমৃদ্ধ জীবন দেওয়া। এদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করা।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে আমি পদ্মা সেতুর পরিকল্পনা করি। এরপর বিএনপি ক্ষমতায় এসে সেতুর কাজ বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আবার কাজ শুরু করলাম। সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম। তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন আমরা পারবো না। আসুন দেখে যান আমরা পেরেছি কিনা।
তিনি বলেন, জনগণের শক্তিই বড় শক্তি। এদেশের মানুষ পাশে ছিল বলেই নিজ অর্থায়নে এতো বড় একটি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি। এসময় ড. মো. ইউনূসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর সব পরিকল্পনা হওয়ার পর বিশ্ব্যাংকে তদবির করে ড. ইউনূস অর্থায়ন বন্ধ করে দিলেন। কিন্তু সেতুতে তখনো কোনো অর্থ দেয়নি বিশ্বব্যাংক। তারপরও তারা দুর্নীতির অভিযোগ তুললো। কিন্তু সেতু তৈরি বন্ধ রাখতে পারেননি। আমার একমাত্র শক্তি আপনারা। আমার শক্তি এদেশের জনগণ। আপনারা পাশে থাকলে সব বাধা পেরিয়ে যেতে পারবো।
দক্ষিণবঙ্গের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি এদেশের প্রতিটি কোণা ঘুরেছি। একসময় লঞ্চে শরীয়তপুর আসতে সময় লাগতো ২২ ঘন্টা। মাদারীপুরে-গোপালগঞ্জে চলাচলে কষ্ট হতো। আমি ক্ষমতায় এসে রাস্তাঘাট করেছি যাতে মানুষের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে না হয়। এখন থেকে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের চলাচলে আর ভোগান্তি থাকবে না।