রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

আগস্টের মাঝামাঝি সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ার শঙ্কা

খালেদ মাহমুদ রকি
আপডেট : আগস্ট ৭, ২০২১

মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন দুই শতাধিক। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ২৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দ্বিতীয় সের্বাচ্চ ২৬১ জন মারা গছেন।

সংক্রমণের লাগাম টানতে সরকার কঠোর লকডাউন ঘোষণা করলেও ১০ আগস্ট থেকে সেই বিধিনিষেধ শিথিল করতে যাচ্ছে। এর আগে ঈদের সময়ে ঢাকা থেকে মানুষের গ্রামে যাওয়া, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পশুর হাট যাওয়া, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কোরবানিও দিয়েছে মানুষ। ফলে চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে ফের সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. চিশতি জানান, ২৩ জুলাই থেকে জারি করা লকডাউন খুব কার্যকর ছিল। সংক্রমণ কমেও আসছিল। হঠাৎ পোশাক কারখানা খোলার সিদ্ধান্তে রাতারাতি যেভাবে মানুষের ঢল ঢাকার দিকে এসেছে, তাতে ঢাকায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। এই আগস্টেই ভয়াবহ হতে পারে ঢাকার পরিস্থিতি।

আরেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আইইডিসিআর-এর সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বর্তমান উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, কোরবানির ঈদের আগে যে লকডাউনের যে শিথিলতা ছিল, তার প্রভাব আগস্ট মাসের প্রথম ১৫ তারিখের মধ্যে দেখা যাবে। পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার কারণে গত কয়েক দিনে যে পরিমাণ জনসমাগম হয়েছে, বাইরে থেকে গাদাগাদি করে মানুষজন ঢাকায় ফিরেছে, এর কারণেও করোনার সংক্রমণ বাড়বে।

ডা. মুশতাক আরও বলেন, জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে পশুর হাট বসানো হলো। লোকজন বিভিন্নভাবে দলে দলে ঢাকা ছাড়লো। ঈদের জামাত হলো। আবার লাখ লাখ মানুষ গাদাগাদি করে ঢাকায় ফিরল। এসব কারণে মূলত সংক্রমণ বেড়েছে। এছাড়াও আমাদের চিন্তার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি না মানা। সেখানে অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। ঘন হয়ে বসছেন। বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য আমাদের আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এটি আমরা বাড়িতে বসেই করতে পারি।

দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১.৬৬ শতাংশ। প্রতিদিন ১০ হাজার লোক আক্রান্ত হলে তাদের মধ্যে ১৬৬ জন মারা যাচ্ছেন। বর্তমানে দৈনিক ২৩৫ থেকে ২৬০ জন মারা যাচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঈদুল আজহায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বাড়ি ফেরা, হঠাৎ পোশাক কারখানাগুলো খোলার সংবাদে যেভাবে জনসমাগম হয়েছে- তাতে সংক্রমণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সংক্রমণ বাড়লে সেই অনুপাতে বাড়বে মৃত্যুর সংখ্যাও।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১ আগস্ট ২৩১ মৃত্যু ও আক্রান্ত ১৪ হাজার ৮৪৪ জন, ২ আগস্ট মৃত্যু ২৪৬ ও আক্রান্ত ১৫ হাজার ৯৮৯ জন, ৩ আগস্ট মৃত্যু ২৩৫ ও আক্রান্ত ১৫ হাজার ৭৭৬ জন, ৪ আগস্ট মৃত্যু ২৪১ ও আক্রান্ত ১৩ হাজার ৮১৭ জন, ৫ আগস্ট মৃত্যু ২৬৪ ও আক্রান্ত ১২ হাজার ৭৪৪ জন, ৬ আগস্ট মৃত্যু ২৪৮ ও আক্রান্ত ১২ হাজার ৬০৬ জন এবং ৭ আগস্ট মৃত্যু ২৬১ ও আক্রান্ত ৮ হাজার ১৩৬ জন।

আগস্ট ১ থেকে ৭ তারিখ, এক সপ্তাহে করোনায় মারা গেছেন ১ হাজার ৭২৬ জন এবং সংক্রমমিত হয়েছেন ৯৩ হাজার ৯১২ জন। গড়ে প্রতিদিন মারা গেছেন ২৪৭ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ৪১৬ জন করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ