সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের পর তিন দফা রিমান্ড শেষে এখন তাকে রাখা হয়েছে কাশিমপুরের মহিলা কারাগারে। এবার নিজের বিয়ে নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে বিস্ময়কর তথ্য দিলেন পরীমণি।
কারা কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন ‘আপনি ম্যারিড, নাকি আনম্যারিড?’ ওই কর্মকর্তার প্রশ্নের জবাবে পরীমণি বলেন, ‘আমি আনম্যারিড।’ এরপর সেই তথ্যই লেখা হয় কারাগারের রেজিস্টারে।
কারা সূত্রে জানা যায়, গত পরীমণিকে ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় কাশিমপুরে মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। আরো ১৩ জনের সঙ্গে কোয়ারেন্টিন সেলে থাকতে দেওয়া হয় তাকে। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন আরেক আলোচিত কথিত মডেল পিয়াসা। আর পরীমণিকে নেওয়ার দিন সেখানে ঢোকেন আরেক আলোচিত মডেল মরিয়ম আক্তার মৌ।
কারা সূত্র জানায়, প্রত্যেক আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর কারাগারের রেজিস্টারে তার নাম-পরিচয়সহ সব কিছু লেখা হয়। পরীমণির ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। পরদিন ১৪ আগস্ট সকালের দিকে মহিলা ডাক্তার গিয়ে পরীমণির স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ তাঁর শনাক্তকারী চিহ্ন লিপিবদ্ধ করেন।
এরপর কারা কর্মকর্তারা রেজিস্টারে তাঁর নাম-ঠিকানাসহ তথ্য লিপিবদ্ধ করতে যান। ওই সময় এক কারা কর্মকর্তা তাঁর কাছে জানতে চান, ‘কেমন আছেন আপনি?’ পরীমণির জবাব, ‘মশার কারণে সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। এ ছাড়া এতজন একসঙ্গে থাকতে গিয়েও কষ্ট হচ্ছে। এভাবে কোনো দিন থাকিনি। অশান্তিতে আছি।’ পরে কারা কর্মকর্তারা তাঁকে বলেন, ‘কারাগারে শান্তির খোঁজ করলে চলবে? কারাগার চলে কারাবিধি অনুযায়ী। বন্দি হিসেবে আপনি যা সুবিধা পাওয়ার কথা, এর বেশি পাবেন না।’
পরে কারা কর্মকর্তারা তাঁর নাম ও মা-বাবার নামের পর জিজ্ঞেস করেন, তিনি ম্যারিড না আনম্যারিড। পরীমণি বলেন, ‘আমি আনম্যারিড।’ এ তথ্য রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে রাখা হয় বলে জানা গেছে। যদি তিনি নিজেকে বিবাহিত বলতেন, তাহলে পরের প্রশ্ন আসত – তাঁর স্বামীর নাম কী। স্বামীর নাম বলার পর আসত ছেলে-মেয়ে আছে কি না ইত্যাদি।
এক কারা কর্মকর্তা বলেন, বন্দি কারাগারে যাওয়ার পর তার পরিবারের সবার নামধাম লিখে রাখা হয় রেজিস্টারে। যখন তার মুক্তি মেলে তখন ওই তথ্য নতুন করে যাচাই করা হয়।