সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

আই অ্যাম আনম্যারিড

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : আগস্ট ২৪, ২০২১

সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের পর তিন দফা রিমান্ড শেষে এখন তাকে রাখা হয়েছে কাশিমপুরের মহিলা কারাগারে। এবার নিজের বিয়ে নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে বিস্ময়কর তথ্য দিলেন পরীমণি।

কারা কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন ‘আপনি ম্যারিড, নাকি আনম্যারিড?’ ওই কর্মকর্তার প্রশ্নের জবাবে পরীমণি বলেন, ‘আমি আনম্যারিড।’ এরপর সেই তথ্যই লেখা হয় কারাগারের রেজিস্টারে।

কারা সূত্রে জানা যায়, গত পরীমণিকে ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় কাশিমপুরে মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। আরো ১৩ জনের সঙ্গে কোয়ারেন্টিন সেলে থাকতে দেওয়া হয় তাকে। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন আরেক আলোচিত কথিত মডেল পিয়াসা। আর পরীমণিকে নেওয়ার দিন সেখানে ঢোকেন আরেক আলোচিত মডেল মরিয়ম আক্তার মৌ।

কারা সূত্র জানায়, প্রত্যেক আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর কারাগারের রেজিস্টারে তার নাম-পরিচয়সহ সব কিছু লেখা হয়। পরীমণির ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। পরদিন ১৪ আগস্ট সকালের দিকে মহিলা ডাক্তার গিয়ে পরীমণির স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ তাঁর শনাক্তকারী চিহ্ন লিপিবদ্ধ করেন।

এরপর কারা কর্মকর্তারা রেজিস্টারে তাঁর নাম-ঠিকানাসহ তথ্য লিপিবদ্ধ করতে যান। ওই সময় এক কারা কর্মকর্তা তাঁর কাছে জানতে চান, ‘কেমন আছেন আপনি?’ পরীমণির জবাব, ‘মশার কারণে সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। এ ছাড়া এতজন একসঙ্গে থাকতে গিয়েও কষ্ট হচ্ছে। এভাবে কোনো দিন থাকিনি। অশান্তিতে আছি।’ পরে কারা কর্মকর্তারা তাঁকে বলেন, ‘কারাগারে শান্তির খোঁজ করলে চলবে? কারাগার চলে কারাবিধি অনুযায়ী। বন্দি হিসেবে আপনি যা সুবিধা পাওয়ার কথা, এর বেশি পাবেন না।’

পরে কারা কর্মকর্তারা তাঁর নাম ও মা-বাবার নামের পর জিজ্ঞেস করেন, তিনি ম্যারিড না আনম্যারিড। পরীমণি বলেন, ‘আমি আনম্যারিড।’ এ তথ্য রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে রাখা হয় বলে জানা গেছে। যদি তিনি নিজেকে বিবাহিত বলতেন, তাহলে পরের প্রশ্ন আসত – তাঁর স্বামীর নাম কী। স্বামীর নাম বলার পর আসত ছেলে-মেয়ে আছে কি না ইত্যাদি।

এক কারা কর্মকর্তা বলেন, বন্দি কারাগারে যাওয়ার পর তার পরিবারের সবার নামধাম লিখে রাখা হয় রেজিস্টারে। যখন তার মুক্তি মেলে তখন ওই তথ্য নতুন করে যাচাই করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ