অনুমোদিত সীমার বাইরে কীটনাশক ও রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়ায় ভারতের রপ্তানি করা চা দেশটিতেই ফেরত পাঠাচ্ছে অনেক দেশ। এমনকি দেশি ক্রেতারাও বিক্রেতাদের কাছে তা ফেরত পাঠাচ্ছেন।
আজ শুক্রবার (৩ জুন) ভারতীয় চা রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (আইটিইএ) চেয়ারম্যান আন্সুমান কানোরিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ চা রপ্তানিকারক শ্রীলঙ্কা। এবার দেশটিতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী পানীয় পণ্যটির সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। সেটা পূরণ করার চেষ্টা করছে ভারত। ফলে তাদের রপ্তানি বেড়েছে। তবে সম্প্রতি তাতে অতিরিক্ত মাত্রায় কীটনাশক ও রাসায়নিক ধরা পড়েছে। পরিপ্রেক্ষিতে দেশি-বিদেশি ক্রেতারা তা ফেরত পাঠাচ্ছেন। এতে চালান কমে গেছে।
প্রেস ট্রাস্ট ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) কানোরিয়া বলেন, দেশে চা বিক্রি করতে হলে অবশ্যই ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এফএসএসএআই) নিয়ম মেনে চলতে হবে। তবে অধিকাংশ ক্রেতা উচ্চমাত্রায় রাসায়নিক মিশ্রিত চা-ও কিনছেন।
২০২১ সালে ১৯৫ দশমিক ৯০ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করে ভারত। দেশটির পানীয় পণ্যটির অধিকাংশ ক্রেতা কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর ও ইরানের। চলতি বছর ৩০০ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ভারতীয় চা বোর্ড।
কানোরিয়া বলেন, অনেক দেশ চায়ের জন্য কঠোর প্রবেশ বিধি অনুসরণ করছে। বেশিরভাগ দেশ ইইউ স্ট্যান্ডার্ডের ভিন্নতা অনুসরণ করে, যা এফএসএসএআই নিয়মের চেয়ে বেশি কঠোর।
ভারতীয় চা বোর্ডের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পিটিআইকে বলেন, বিক্রি করা চায়ে কীটনাশক পাওয়া গেছে বলে প্যাকেটজাতকারী ও রপ্তানিকারকদের কাছ থেকেও অভিযোগ এসেছে।
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, সব চা উৎপাদনকারীকে এফএসএসএআই নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। যাতে আন্তর্জাতিক বা দেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে কোনও অভিযোগ না আসে।
উল্লেখ্য, গত বছর ৫,২৪৬ দশমিক ৮৯ কোটি রুপি চা রপ্তানি করেছে ভারত। এবার এ অংক আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।