চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মাঝে খোলা রাখা হয়েছে তৈরি পোশাক কারখানা। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির এই সময়ে ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন শ্রমিকরা। এ অবস্থায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের টিকা প্রদানের দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিক ও রফতানিকারক সমিতি-বিজিএমইএ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে এ দাবি জানানো হয়।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বিজিএমইএ’র পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পোশাকশিল্পের শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জরুরি ভিত্তিতে করোনার টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। আবেদনে সব শ্রমিক (কর্মকর্তা-কর্মচারী) ও বিদেশিদের জরুরি ভিত্তিতে করোনার টিকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সোমবার (৫ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের ফলে দেশের সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী তৈরি পোশাক খাত এখন কঠিন সময় অতিক্রম করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি লাখ লাখ শ্রমিক করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কারখানায় কাজ করছেন। এই শ্রমিকদের পাশাপাশি দেশে বিভিন্ন কারখানায় ও আন্তর্জাতিকমানের অনেক ক্রেতা- বিদেশিরা কাজ করছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশের অর্থনীতির স্বার্থে এ খাতে কর্মরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
এদিকে শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, চলমান বিধিনিষেধে প্রায় সব শ্রম সেক্টর বন্ধ থাকলেও গার্মেন্টস সেক্টর চালু রেখেছে সরকার। মালিকদের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা ও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ খাত চালু রাখার কথা বলা হলেও তা মানা হচ্ছে না। কারখানার আশপাশে থাকা শ্রমিকরা আগের মতো পায়ে হেঁটে কারখানায় আসলেও, দূরে অবস্থান করা শ্রমিকরা পড়েছেন বিপাকে। সম্প্রতি করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ডেল্টা) বিস্তৃতির ফলে সবচেয়ে হুমকির মুখে পড়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। জরুরি ভিত্তিতে তাদের করোনা টিকা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ অবস্থায় গত ১৬ জুন বিজিএমইএ সভাপতি ও পর্ষদ সদস্যরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেদিনই পোশাকশিল্পে করোনা টিকা সরবরাহ করা হবে বলে মন্ত্রী আশ্বাস দেন।