বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

৭ দিনের মধ্যে অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টর

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১

অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল আগামী ৭ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন দুই রিটকারী আইনজীবী জারিন রহমান ও রাশিদা চৌধুরী নীলু।

আদেশে বলা হয়, ৯২টি প্রতিষ্ঠান ব্যতিত অননুমোদিত ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন সব নিউজ পোর্টাল বন্ধ করতে হবে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

এদিকে, ঢাকা থেকে প্রকাশিত ৯টি বাংলা দৈনিক এবং একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার ঘোষণাপত্র (ডিক্লারেশন) বাতিল করা হয়েছে। ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরে গত ৮ সেপ্টেম্বরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে বলে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়।

ডিক্লারেশন বাতিল হওয়া পত্রিকাগুলো হলো- গণ আওয়াজ, দৈনিক জনসেবা, ঢাকা প্রকাশ, জাতির কণ্ঠ, কিষাণ, এই দেশ এই দিন, পূর্ব আলো, সময়ের পাতা ও রিপোর্টার।

তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, ১৯৭৩ সনের ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধন) আইনের ৯ (১) এর (৩) (ক) ধারা ভঙ্গ এবং পত্রিকাগুলোর প্রকাশক ও সম্পাদক চুক্তিপত্রের শর্ত না মানায় পত্রিকাগুলোর ঘোষণাপত্র বাতিল করা হয়েছে।

যেসব পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয় না, সেগুলো বন্ধের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সে কথা গত মাসের শেষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদও বলেছিলেন।

২৪ অগাস্ট এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এগুলো ভুতুড়ে পত্রিকা। এখানে নিয়োগকৃতদের বেতন দেওয়া হয় না, এরা চাঁদাবাজিসহ নানা কিছুতে লিপ্ত হয় এবং সেই বদনামটা সাংবাদিক সমাজের ওপর বর্তায়, যা কখনোই সমীচীন নয়। এজন্য আমরা ভুতুড়ে পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছি।’
ছাপানো সংবাদপত্রগুলো তাদের নথিপত্রে প্রচার সংখ্যার যে খতিয়ান দেয়, তার সঙ্গে ‘বাস্তবতার মিল খুঁজে পাওয়া যায় না’ বলেও এর আগে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গতবছর ছাপানো পত্রিকাগুলোর প্রচার সংখ্যা তলানিতে নেমে যায়, বেশ কয়েকটি পত্রিকা ছাপানো বন্ধও রাখা হয়। এরপরেও অনেক পত্রিকা বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য তাদের প্রচার সংখ্যা বেশি দেখিয়েছে বলে সে সময় তথ্য দিয়েছিলেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ