টেস্ট হারের সেঞ্চুরি পূর্ণ করল বাংলাদেশ। পরাজয়ের শতাংশের হিসাবে সবচেয়ে ব্যর্থ দল। ২২ বছরেও গড়ে ওঠেনি টেস্ট সংস্কৃতি। হওয়ার লক্ষণও দৃশ্যমান নয়। ক্রিকেট বোর্ড বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও অগ্রগতি নেই। তাই সাদা পোষাকে খেলার সামর্থ নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, আমার জানামতে প্রায় ২৬ বছর লেগেছিল ভারতের প্রথম টেস্ট জিততে। অস্থির হলে চলবে না।
শাক দিয়ে কী মাছ ঢাকার চেষ্টা। টেস্টে বাংলাদেশের ব্যর্থতার খতিয়ান সবার জানা। ২২ বছরেও টেস্ট সংস্কৃতি গড়ে না ওঠার দায় স্বীকার করতে রাজি নন নাজমুল হাসান। বরং উদাহরণ দিয়েছেন ভারতের। যদিও বছরের হিসাব বললেও টেস্ট সংখ্যাটা মুখ্য হয়নি সেখানে।
পরিসংখ্যান বলছে, ম্যাচের হিসাবে একমাত্র নিউজিল্যান্ডই আছে বাংলাদেশের পরে। তাদের লেগেছিল ৪৫ ম্যাচ। আর বাংলাদেশ ৩৫ ম্যাচে গিয়ে প্রথম জয় পেয়েছিল। ভারতের প্রথম টেস্ট জিততে ২০ বছর লেগেছিল। তবে ম্যাচ সংখ্যা টাইগারদের চেয়ে ১০টা কম। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এমনকি জিম্বাবুয়ে ম্যাচ আর সময় সব বিচারেই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে।
সফলতা, ব্যর্থতা চাইলেই জেনে নিতে পারে বিসিবি। ম্যাচের জয়-পরাজয়ের হার দেখলেই তা স্পষ্ট হবে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আাফ্রিকা বা ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরাজয়ের হার ৪০ শতাংশের নিচে। মাত্র ৬ ম্যাচ খেলা আফগানিস্তান কিংবা জিম্বাবুয়ের মত দলও বাংলাদেশের চেয়ে সফল। তলানীর দল বাংলাদেশ হেরেছে ৭৪ শতাংশ টেস্ট।
১৩৪ ম্যাচে টাইগারদের জয় মাত্র ১৬। হেরেছে সব দেশের সঙ্গে। আফগানিস্তানের মতো নবীন দলও হারিয়েছে টাইগারদের। টেস্ট চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডের উদাহরণ দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি। তার যুক্তি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তারা বেশিরভাগ ম্যাচ হেরেছে। কিন্তু ব্ল্যাকক্যাপরা কি বাংলাদেশের মত বাজেভাবে হেরেছে? ইংল্যান্ডের সাথে সদ্য শেষ হওয়া সিরিজই তার প্রমাণ। হারলেও লড়াই করেছে কেন উইলিয়ামসনরা।
ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা না করে টেস্ট কালচার গড়ে তোলাই বিসিবির কাজ। পরাজয়ের সেঞ্চুরির লজ্জাও কি বদলাবে না বাংলাদেশকে?