শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৫১ অপরাহ্ন

স্কুলে ভর্তি লটারিতেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : নভেম্বর ৩, ২০২১

গত বছরের মতো এবারও বেসরকারি ও সরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

বুধবার (৩ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেনের নেতৃত্বে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি নীতিমালা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত রাজধানীর একটি শীর্ষ পর্যায়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, নতুন বছরের স্কুলভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে ২০২২ সালের শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। টেলিটকের মাধ্যমে লটারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

তিনি বলেন, ভর্তি নীতিমালায় বড় ধরনের তেমন পরিবর্তন আনা না হলেও সরকারি চাকরিজীবী কেউ বদলি হলে তার নতুন কর্মস্থলের কাছাকাছি সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে সে সুবিধার সঙ্গে সরকারি চাকরিজীবী কেউ মারা গেলে বা অবসরে গেলে সেই শিক্ষার্থীর পরিবার অন্য স্থানে স্থানান্তর হলে সেখানে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। এ সুবিধা মাত্র একবারের জন্য দেওয়া হবে।

ওই অধ্যক্ষ আরও বলেন, জেলা পর্যায়ের কিছু শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য একাধিক জেলায় আবেদন করে থাকে। সেই ক্ষেত্রে ভর্তির আগে বা পরে পছন্দের বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নিজ ও নির্বাচিত জেলার স্কুলে আলোচনা করে তারা ভর্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করতে পারবে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এবারও আগের মতোই বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন ফি ২০০ টাকা ও সরকারিতে ১৭০ টাকা রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বাড়ানো হচ্ছে না। ভর্তি নীতিমালার অন্যান্য বিষয় আগের মতো থাকছে।

গত বছর করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর আগে শুধু প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। আর দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা নেওয়া হতো। নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হতো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে।

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, বুধবার মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে সভা হয়েছে। সেখানে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক, ঢাকার তিনটি শীর্ষ পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশির কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, নতুন বছরের ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত হলেও এখনো আবেদন বিক্রি শুরু ও ভর্তির সময় নির্ধারণ করা হয়নি। আগামী রোববার বৈঠকের রেজুলেশন চূড়ান্ত করার পর মাউশি থেকে ভর্তি আবেদন ফরম বিক্রি ও ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু ও শেষ করতে সময় নির্ধারণ করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ