বন্যার পানি কমতে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ফুটে উঠছে সিলেট ও সুনামগঞ্জে। বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষি ও মৎস্য সম্পদের। দুই জেলার মৎস্য বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী- বন্যায়, সিলেটে ১৯ হাজার পুকুর, দিঘি, হ্যাচারি ও মাছের খামার পানিতে তলিয়েছে। আর সুনামগঞ্জে, ভেসে গেছে প্রায় ১২শ’ পুকুরের মাছ। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, এই দুই জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে।
সিলেটে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। সুরমা নদীর পানিও এখন বিপৎসীমার নিচে। নগরের বেশির ভাগ অংশ থেকেই পানি নেমে গেছে। তবে উপজেলাগুলোরে বহু এলাকা এখনও জলমগ্ন।
বানের পানি নেমে যেতে শুরু করার পর ক্ষয়ক্ষতির নানা চিত্র ভেসে উঠছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ ক্ষেত-খামারে কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে বেশি ক্ষতি হয়েছে মৎস্য সম্পদের। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সিলেটে ১৮ হাজার ৭৪৯টি পুকুর, দিঘি, হ্যাচারি ও মাছের খামার পানিতে তলিয়েছে। এতে প্রায় ২ কোটি ১৩ লাখ মাছের পোনা এবং ২ হাজার ৩০৫ টন মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্য অফিস জানায়, বন্যায় জেলার ১ হাজার ২৫০টি পুকুর ডুবে যায়। এতে প্রায় তিন কোটি ৩৭ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বেশিরভাগ এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। তবে কিছু নিম্নাঞ্চলে এখনো জলমগ্ন। জেলার জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জে বেড়েছে বন্যার পানি।
পানি কমেছে মধ্যাঞ্চলের নদ-নদীতেও। তবে, যমুনা নদী তীরবর্তী সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন।