শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৫৮ অপরাহ্ন

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ শুনানি শিগগিরই-আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : নভেম্বর ১৬, ২০২১

জাতীয় সংসদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর উচ্চ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের রিভিউ আবেদনের বিষয়ে শিগগিরই শুনানি হবে।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে পাসের জন্য উত্থাপিত ‘বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিল-২০২১’ বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে এ তথ্য জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের মামলাটি বর্তমানে আপিল বিভাগে রিভিউয়ের জন্য আছে। আমরা সুপ্রিম কোর্টের রুলস-এর ‘এরর অ্যাপারেন্ট অন দ্যা ফেস অব দ্যা রেকর্ড’ গ্রাউন্ডে এ রিভিউ চেয়েছি। এ মামলায় রিভিউয়ের জন্য আমাদের যথেষ্ট মেরিটও আছে। মামলাটি শুনানির জন্য আমরা ইতোমধ্যে আপিল বিভাগের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি। আপিল বিভাগ শিগগিরিই এ মামলাটি শুনে দেবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।

এর আগে বিলটি বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে জাতীয় পার্টির এমপি মুজিবুল হক চুন্নু ১৬তম সংশোধনীর রিভিউর সর্বশেষ কী অবস্থা তা জানতে চান।

২০১৭ সালের ৩ জুলাই সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন আপিল বিভাগ। ওই রায়ে হাইকোর্টের রায়ের কিছু পর্যবেক্ষণ এক্সপাঞ্জ করে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল ‘সর্বসম্মতভাবে’ খারিজ করে দেওয়া হয়। পরে একই বছরের ১ আগস্ট এ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।

পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের প্রায় পাঁচ মাস পর ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর এ আবেদন করার পর কেটে গেছে তিন বছরেরও বেশি সময়। রিভিউ আবেদনটি এখনও আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় আছে।

এর আগে ২০১৪ সালে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীটি জাতীয় সংসদে পাস করা হয়। আগে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে এ ক্ষমতা ছিল।

এরপর সংশোধনীটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ৯ জন আইনজীবী রিট দায়ের করেন। পরে হাইকোর্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সংশোধনীটি বাতিল ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ