শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন

লকডাউনের পঞ্চম দিনে রাজধানীর সড়কে গাড়ির চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : জুলাই ২৭, ২০২১

মহামারি করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত চলমান কঠোর বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে রাজধানীর সড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা গেছে।

অফিসগামীরা ভাড়া ভাগাভাগি করে রিকশায় চড়ছেন। পাড়া মহল্লার দোকানপাটগুলোও আস্তে আস্তে খুলছে। অন্যদিকে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের তল্লাশি অব্যাহত আছে। বিভিন্ন সিগন্যালে গাড়িগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড, শংকর, ধানমন্ডি লেক, ঝিগাতলা, সিটি কলেজ মোড়, রাসেল স্কয়ার মোড়, গণভবন চেকপোস্ট ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থাকা শেরেবাংলা নগর থানার চেকপোস্ট ঘুরে দেখা যায়, জীবিকার তাগিদে অনেকেই মহল্লায় ছোট দোকানগুলো খুলেছেন। মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড ও শংকর বাস স্ট্যান্ডে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালকদের যাত্রীর অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। ধানমন্ডি লেকে শতাধিক মানুষকে শরীর চর্চা করতে দেখা গেছে। দুপুরের খাবার হাতে অনেককে হেঁটে কাজে যেতে দেখা যায়।

এদিকে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ রয়েছে। সঙ্গে চলছে রিকশা, মোটরসাইকেল, অফিস বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক। ট্রাফিক পুলিশের ব্যাপক তল্লাশির ফলে চেকপোস্টগুলোয় গাড়ির জটলা সৃষ্টি হয়েছে। তবুও পুলিশ প্রতিটি গাড়ির যাত্রীদের তল্লাশি করছে। যারা অযথা বাইরে বের হয়েছেন বা সন্তোষজনক জবাব দিতে পারছেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।

চলমান কঠোর বিধিনিষেধে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকার কথা থাকলেও কিছু কিছু অফিস খোলা রয়েছে। খোলা রয়েছে ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ফলে গত রোববার থেকে সড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীতে বৃষ্টি শুরু হলে পথচারীদের বিভিন্ন দোকানের শেডের নিচে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। একান্ত জরুরি প্রয়োজন যাদের, তাদের বৃষ্টি থেকে বাঁচতে পর্দা টেনে রিকশায় চড়তে দেখা গেছে। বৃষ্টিতে কিছু সময়ের জন্য ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল চেকপোস্টগুলো। বৃষ্টি কমার পরে আবারও শুরু হয় পুলিশের তল্লাশি।

 

সড়কে কারা চলাচল করতে পারছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জহুরুল হক বলেন, ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ অনেক অফিস খোলা। আমরা প্রত্যেকটি গাড়িকে জিজ্ঞাসবাদ করছি। ফলে পেছনে গাড়ির দীর্ঘ সিরিয়ালও হয়েছে। এখানে অনেকেই আর্থিক কাজে যাচ্ছেন, রোগী দেখতে যাচ্ছেন, টিকা নিতে যাচ্ছেন, বিভিন্ন পণ্যবাহী গাড়ি আসছে। আমরা চেষ্টা করছি অন্তত কেউ যেন অযথা ঘর থেকে বের না হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ