শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন

মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র : কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : আগস্ট ২৩, ২০২১

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় ১২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা-সম্পন্ন মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিকাল কয়লা-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণস্থলে কাজ করে স্থানীয় দক্ষ ও অদক্ষ জনশক্তি তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করছে।

কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অপারেশন) মো. মনোয়ার হোসেন মজুমদার আজ বলেন, ‘আমরা এখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজের জন্য দক্ষ এবং অদক্ষ উভয় ধরনের স্থানীয় লোকদেরই নিযোাগ করেছি।’

তিনি বলেন, প্রায় ৪.৪৮৮ জন স্থানীয় মানুষ প্রকল্পে কাজ করছেন এবং অবাধে অর্থ উপার্জন করছেন। তিনি আরও বলেন, ‘লোকজস তাদের বাড়ি-ঘর থেকে এসে কাজ করছেন, এবং কাজ ও যোগ্যতা অনুযায়ী ভালো বেতন পাচ্ছেন। আগ্রহীরা নির্ধারিত সময় কাজ করার পর ওভারটাইম করতে পারে।

প্রকল্পের স্থানীয় শ্রমিক লতিফ জানান, তিনি মহেশখালী উপজেলার নিকটবর্তী গ্রামে বসবাস করেন এবং নিয়মিত প্রকল্পে কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ওভারটাইম কাজের জন্য পেমেন্টসহ মাসিক বেতন হিসাবে ৩২,০০০ টাকা আয় করছি। আমি আমার পরিবারের সাথে থেকে এখানে কাজ করতে পারায় আমি খুশি।’ আরেকজন কর্মচারী কাঠমিস্ত্রি মো. সুলতান মিয়া, জানান, তিনি মহেশখালী উপজেলা সদরে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাজ করতে আসেন।

তিনি বলেন, ‘আমি মাসিক বেতন হিসাবে ৩৫ হাজার টাকার বেশি পাই। এবং মাসিক আয়ে আমি খুশি। এখানে সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং নির্ধারিত সময়ের আগে আমাকে প্রকল্পের ভিতরে ঢুকতে হয়।’

প্রকল্পের বিবরণ অনুসারে, পুরো প্রকল্পে দক্ষ ও অদক্ষ এবং সেইসাথে কারিগরি ও অকারিগরি মিলিয়ে প্রায় ৭,৩৯৪ জন মানুষ কাজ করছে। এই প্রকল্পে জাপানি, চীনা ও অন্য কিছু দেশের নাগরিক নিযুক্ত রয়েছেন। কারণ কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর কারণে সল শ্রমিক এবং কারিগরি ব্যক্তিবর্গ কঠোর স্বাস্থ্য বিধি পালন করছেন।

তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অপারেশন) মো. মনোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগ কাজ করার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ফোনে বলেন, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় ১২০০ মেগাওয়াাট উৎপাদন ক্ষমতা-সম্পন্ন মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিকাল কংয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে কোভিড-১৯ মহামারীরর মধ্যেও সরকার কর্মচারীদেও দিয়ে কাজ করাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা প্ল্যাান্টের জন্য কয়লা বোঝাই মাদার ভেসেল পরিচালনার জন্য একটি সমুদ্র বন্দরও নির্মাণ করছি। এটি মহেশখালীতে একটি পাওয়ার হাব এবং আমাদের লক্ষ্য আমাদের গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন এবং নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা।’ নসরুল হামিদ বলেন, ‘স্থানীয় জনগণের স্বাথের্ই সবকিছু করা হচ্ছে। আমাদের দূরদর্শী নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো প্রকল্প তত্ত্বাবধান করেন। তার সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে।’

ইতিমধ্যে, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সরকারের প্রতশ্রুতি অনুযায়ী মহেশখালী উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এনেছে।-বাসস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ