শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন

বাজার দর: বেড়েছে চাল সবজি ও মাছের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : জুলাই ৯, ২০২১

মহামারি করোনাকালে কমে যাচ্ছে মানুষের আয়। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম কমছে না, বরং বাড়ছে। এই সপ্তাহে নতুন করে বেড়েছে চালের দাম। বিশেষ করে গরিবের বা খেটে খাওয়া মানুষের মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা। এ ছাড়াও নতুন করে বেড়েছে সবজি ও মাছের দাম।

শুক্রবার (৯ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।

 

চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ৪-৫ টাকা। বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকা। গত সপ্তাহে এই চালের দাম ছিল ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা। বাজারে এখন মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকা, গত সপ্তাহে এই চালের দাম ছিল ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি। এখন পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে এই চালের দাম ছিল ৪৮ টাকা কেজি। বাজারে নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা গত সপ্তাহে এই চালের দাম ছিল ৬৭ কেজি।

সবজি বাজারের তথ্য বলছে, সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে গেছে। সবচেয়ে থেকে বেশি বেড়েছে গাজরের দাম। এক সপ্তাহ আগে কেজি ৮০ টাকা কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। একইভাবে ৮০ টাকা কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

রাজধানীর মানিক নগর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মনির বলেন, বেগুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। ৫০ টাকা কেজি বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ঝিঙে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। বাজারে দেখা যায়, করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। চিচিঙ্গার কেজি সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা হয়ে গেছে। ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটির দাম বেড়ে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আগের মতো ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বাজারে করল্লা ৬০ টাকা, চাল কুমড়া কেজি ৪০-৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা। কাঁচামরিচের কেজি ৪০ টাকা। শসার দাম ৪০ টাকা। কাঁকরোল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকায়। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা।

এদিকে আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। আর দেশি আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। দেশি পেঁয়াজের কেজি গত সপ্তাহের মতো ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাছের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে বেশি। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে, যা আগে ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ১৬০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। রূপচাঁদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। চিংড়ি আগের মতো ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

 

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ