মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

বাংলাদেশের সিরিজ জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক
আপডেট : জুলাই ২৫, ২০২১

টি-টোয়েন্টি সিরিজটা হাত ফসকে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে যাওয়াতে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিটা হয়ে দাঁড়ায় সিরিজ নির্ধারণী। শেষ পর্যন্ত দলগত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ শেষ ম্যাচ ৫ উইকেটে হারিয়েছে জিম্বাবুয়েকে। তাতে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানেও নিশ্চিত করেছে সফরকারীরা।

এর আগে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিংয়ের ওপর ছঁড়ি ঘোরায় জিম্বাবুয়ে। তাতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটিও হয়ে উঠে জমজমাট। সিরিজ জিততে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ১৯৪ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় স্বাগতিকরা। টস জিতে ব্যাট করে ৫ উইকেটে তারা সংগ্রহ করে ১৯৩!

শুরুতে বোলারদের উদারতায় জিম্বাবুয়ে ১৯৪ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেওয়ায় ম্যাচটা যে জমজমাট হতে যাচ্ছে সেটি টের পাওয়া যাচ্ছিল। হলোও তাই। ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৪ বল হাতে রেখে।

অবশ্য দুই ওপেনারে শুরুটা খারাপ ছিল না। সৌম্য সরকার কিছুটা মেরে খেলার চেষ্টায় ছিলেন। তৃতীয় ওভারে মুজারাবানির বলে নাঈম হাত খুলতে গিয়ে তালুবন্দি হন মিডঅফে। ৭ বলে নাঈম ফেরেন ৩ রান করে। এর পর সৌম্য-সাকিব মিলে পাওয়ার প্লেতে রানের চাকা সচল রেখেছেন।

সাকিব মেরে খেলতে থাকেন বেশ কিছুক্ষণ। এই মেরে খেলতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনেন অষ্টম ওভারে। এই ওভারে লুক জংউইর বলে দুটি ছক্কা মারলেও চতুর্থ বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন বদলি ফিল্ডার মুসাকান্দাকে। সাকিবের ১৩ বলের ইনিংসে ছিল ১টি চার ও দুটি ছয়।

প্রয়োজনের এই সময় সৌম্য-মাহমুদউল্লাহ মিলেই এগিয়ে নেন দলকে। সৌম্য ফিফটি তুলে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে পৌঁছানোর পর ভেঙে যায় ৬৩ রানের এই জুটি। যেটি গড়ে দেয় জয়ের ভিত। সৌম্য ৬৮ রানে ফেরেন। তার ৪৯ বলের ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ১টি ছয়।

আফিফ নামার পর স্কোরবোর্ড দ্রুত সমৃদ্ধ করতে সচেষ্ট ছিলেন। ৫ বলে ১৪ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন মাসাকাদজার স্পিনে। তাতে ভীষণ চাপেই পড়ে গিয়েছিল সফরকারীরা। বিশেষ করে চাপ ছিল রানরেটের। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেছেন মূলত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও শামীম। দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে মাহমুদউল্লাহ ২৮ বলে ফিরে যান ৩৪ রানে। এই ঘুরে দাঁড়ানো পরিস্থিতিতে শামীমের অবদানও কম নয়। ১৫ বলে ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন বাংলাদেশ। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চারের মার।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ