মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর প্রশ্নে এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করে উত্তর কোরিয়া বুধবার কঠোর সমালোচনা করেছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে। খবর এএফপি’র।
পেলোসি মঙ্গলবার রাতে তাইওয়ান পৌঁছান। বিগত ২৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত উচ্চ পর্যায়ের কোন কর্মকর্তা তাইওয়ান সফরে আসলেন। তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সারিতে রয়েছেন।
এদিকে বেইজিং স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছে যে এক্ষেত্রে তাইওয়ানে তার উপস্থিতিকে একটি সুস্পষ্ট উস্কানি হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং এটি উত্তেজনা ও হুমকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, পিয়ংইয়ং এ ব্যাপারে বেইজিংয়ের অবস্থানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দেবে এবং তারা এ অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য ওয়াশিংটনকে দায়ী করে।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা ‘কেসিএনএ’ পরিবেশিত এক বিবৃতিতে ওই মুখপাত্র বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং তাদের আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও সামরিক উস্কানি প্রকৃতপক্ষে এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা নষ্টের মূল কারণ।’
‘তাইওয়ানকে চীন নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দাবি করলেও তাইওয়ান নিজেদেরকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দীর্ঘ দিন থেকে দাবি করে আসছে।’
বিবৃতিতে পেলোসির সফর প্রশ্নে বেইজিংয়ের কঠোর প্রতিবাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলা হয়, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাদের পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণের অধিকার রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘তাইওয়ান ইস্যুতে বহির্বিশ্বের যে কোন হস্তক্ষেপের আমরা কঠোর নিন্দা জানাই এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখ-গত অখ-তা রক্ষায় চীনের সরকারের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। ’
উল্লেখ্য, চীন হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘ দিনের মিত্র ও দাতা দেশ।