শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন

দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা অপরিবর্তিত

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুন ২৩, ২০২২

সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কমতে শুরু করায় বানভাসী অনেক পরিবার ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তবে প্রায় দু’ সপ্তাহ পানিতে ডুবে থাকা ঘর-বাড়িতে গিয়ে তারা নতুন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। খাদ্য খাদ্যসংকটে ভুগছে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষেরা। পানিবন্দি রয়েছে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে লাখো মানুষ। উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতিও রয়েছে অপরিবর্তিত। দেশের মধ্যাঞ্চলে বাড়ছে পানি।

বানের পানির তোড়ে ভেঙে গেছে ঘর। কারও ঘরের কাঠামো ঠিক থাকলেও নেই থাকার মতো পরিবেশ। বন্যার পানি কিছুটা কমায় সিলেট ও সুনামগঞ্জে জেগে উঠেছে সেতু-কালভার্ট। কিছু কিছু পরিবার ঘর-বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। অনেকের ঘর বন্যার পানিতে চলে যাওয়ায় এখন আশ্রয়কেন্দ্রই তাদের ভরসা। বাসস্থানে ফিরতে পারছেন না আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা সিলেট ও সুনামগঞ্জের অন্তত ৪ লাখ মানুষ। অসংখ্য মানুষের ঠাঁই হয়েছে নৌকায়। বানের পানিতে সহায়-সম্বল হারিয়ে এখন খাবারের কষ্টে তারা।

পাঁচদিন পরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শুরু হয়েছে ফ্লাইট চলাচল। সুনামগঞ্জের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। জেলার শতাধিক বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন অন্তত ১৫ হাজার মানুষ। হবিগঞ্জে অব্যাহতভাবে বাড়ছে কালনী, কুশিয়ারা নদীর আজমিরীগঞ্জ ও নবীগঞ্জ অংশের পানি। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সিলেট অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে জানায় বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র।

এদিকে, উত্তরাঞ্চলসহ বন্যা কবলিত জেলাগুলোতে বানভাসীদের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। বিপদসীমার উপরে বইছে রংপুর, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, হবিগঞ্জ, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নেত্রকোণা ও টাঙ্গাইলের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। বাড়ছে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট। বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। সেই সাথে বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্তদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের পানি নামতে থাকায় বেড়েছে মধ্যাঞ্চলের নদ-নদীর পানি। প্লাবিত হতে পারে এই অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ