শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন

ক্রেতা শূন্য রাজধানীর পশুর হাট

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : জুলাই ১৪, ২০২১

করোনার ঊর্ধ্বমুখীর মধ্যেই রাজধানীতে বসছে কোরবানির পশুর হাট। প্রতিবছর কোরবানির পশুর হাটে উপচে পড়া ভিড় থাকলেও করোনার কারণে এ বছর হাটে যাওয়ার আমেজে ভাটা পড়েছে। এখনও ক্রেতা শূন্য রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে।
হাটগুলোতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির পশু নিয়ে আসতে শুরু করেছেন বিক্রেতারা। তবে রাজধানীর হাটগুলো আগামী শনিবার (১৭ জুলাই) থেকে বসানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা থাকায় এখনও জমে উঠেনি।

 

বুধবার (১৪ জুলাই) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ভাটারার সাঈদনগর হাটে গিয়ে দেখে গেছে, বিক্রেতারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পশু নিয়ে এসেছেন। বিভিন্ন যানবাহনে করে হাটে পশু আনা হচ্ছে। তবে এখনও ক্রেতাদের তেমন একটি উপস্থিতি নেই। ফলে রাজধানীর এই হাট এখনো জমে উঠেনি।

ঝিনাইদহ থেকে কয়েকজন মিলে পাঁচ ট্রাক গরু এনেছেন। তাদের মধ্যে ভারত আলী নামের একজন বলেন, ‘গরু এনেছি, প্রতিদিনই গরু আসছে। কিন্তু কাস্টমার এখনও আসা শুরু করেননি। যে দুয়েকজন ক্রেতা আসছেন তারা দাম জেনে চলে যাচ্ছেন। মূলত শনিবার থেকে হাট জমতে শুরু করে করবে।’

তিনি বলেন, ‘হাটে মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। যারাই আসছেন তারা মাঝারি গরুর দরদাম করছে। দুই লাখের গরু দাম করছেন এক থেকে দেড় লাখ টাকা।’

রাজধানীর এ হাটে পাবনা থেকে গরু নিয়ে এসেছেন আব্দুল মালেক নামের এক বিক্রেতা। তিনি বলেন, ‘এলাকাতেই এবার প্রচুর দাম। বেশি দামেই আমরা গরু কিনে এনেছি। তাই গরুর দাম কিছু বেশি যাবে বলেই মনে হচ্ছে। সবাই মাঝারি সাইজের গরু এনেছেন। এ সাইজের গরুর চাহিদা প্রতিবারই বেশি থাকে। এখনও হাট জমে উঠেনি। আরও দুই/তিন দিন পর থেকে হয়তো ক্রেতাদের আনাগোনা বেশি হবে।’

ভাটারার সাঈদনগর হাট এবার ইজারা নিয়েছেন ইকবাল হোসেন খন্দকার। ইজারাদারের পক্ষ থেকে হাটে সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ জনসচেতনামূলক বার্তা প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া হাটের তথ্যকেন্দ্র, হাসিল আদায়ের স্টেজ তৈরির কাজ চলছে।

 

ইজারাদারের পক্ষ হাটে সার্বক্ষণিক মনিটরিং টিমের সদস্য এরশাদ আলী বলেন, ‘হাটে যারা গরু আনছেন তাদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা দেখছি। এছাড়া তাদের থাকার জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আমরা সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।’

 

এবার ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে দুটি স্থায়ীসহ ২৫ হাট বসাতে চাইলেও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। ওই অনুযায়ী ঢাকা উত্তরে গাবতলী স্থায়ী হাট ছাড়াও ৯টি অস্থায়ী হাট বসানো হয়েছে।

অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণে সারুলিয়ার স্থায়ী পশুর হাট ছাড়াও ১০টি অস্থায়ী হাট বসানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে ঢাকায় ২১টি পশুর হাট বসেছে। দুই সিটি করপোরেশনের ঘোষণা অনুযায়ী, ১৭ জুলাই থেকে ২১ জুলাই (ঈদের দিন) পর্যন্ত এই পাঁচ দিন হাটে বেচাকেনা করা যাবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির যে ১০টি অস্থায়ী হাট নির্ধারণ করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক ই, এফ, জি, এইচ, সেকশন ১ ও ২ এর খালি জায়গা।

এছাড়াও গোলাপবাগের ডিএসসিসি মার্কেটের পেছনের খালি জায়গা, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধূপখোলা ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা ও রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা। এছাড়া সারুলিয়া স্থায়ী হাটেও কোরবানির পশু পাওয়া যাবে।

অন্যদিকে, ঢাকা উত্তরে গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট ছাড়া আরও ৯টি অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ