শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন

করোনার ভুয়া রিপোর্ট: সাবরিনাসহ ৮জনের ১১ বছরের জেল

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুলাই ১৯, ২০২২

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী এবং তার স্বামী ও প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল চৌধুরীসহ ৮ জনকে ১১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৯শে জুলাই) দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

এর আগে আসামিদের আদারতে হাজির করা হয়। তার আগে সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর সিএমএম কোর্ট সংলগ্ন হাজতখানায় নিয়ে আসা হয় সাবরিনাসহ অন্যদের।

প্রতারণার মামলায় গত ২৯শে জুন উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে একই আদালত রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন। সাবরিনা-আরিফুল ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও এবং জেবুন্নেসা।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশির ভাগই ‘ভুয়া’ বলে চিহ্নিত হয়। এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩শে জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় ২০২০ সালের ১২ই জুলাই দুজনকেই গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

একই বছরের ৫ই আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা-আরিফসহ আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশ। চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূলহোতা এবং বাকি আসামিদের প্রতারণা ও জালিয়াতির কাজে সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ওই বছরের ২০শে আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। চলতি বছরের ২০শে এপ্রিল মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় চার্জশিটভুক্ত ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ