শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৪ অপরাহ্ন

এম এ মুহিত সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুন ১৫, ২০২২
এম এ মুহিত সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সারাজীবন দেশের কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তাঁর চিন্তাভাবনার কেন্দ্রে ছিল বাংলাদেশ। দেশের কীভাবে উন্নয়ন করা যায়, কীভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করা যায়, তিনি সবসময় সেই চেষ্টা করে গেছেন।

বুধবার (১৫ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) আয়োজিত মরহুম আবুল মাল আব্দুল মুহিতের স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ।

স্মরণসভায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আবুল মাল আব্দুল মুহিত এমন এক ব্যক্তিত্ব যাকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম অনুসরণ করে যাবে। মুহিত সাহেব মোট ১১ বার, এর মধ্যে টানা ৯ বার জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করেছিলেন। আমরা তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।

তিনি আরও বলেন, কোন প্রস্তাব যুক্তিসঙ্গত হলে, মানুষের কল্যাণের জন্য হলে তিনি তা গ্রহণ করতেন। মুহিত সাহেব অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান ও দূরদর্শী ছিলেন। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে আবুল মাল আব্দুল মুহিত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৮ এই সময়কালে মুহিত ভাই জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে কাজ করার সুযোগ পান এবং তখন থেকেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী হবে, পদক্ষেপ কী হওয়া উচিৎ তা নিয়ে অনেক কাজ করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মুহিত ভাই আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে যে ভূমিকা রেখেছেন এটা কখনোই সম্ভব হতো না, যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সুযোগ করে না দিতেন।

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) এর সভাপতি এম এ মুবিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ স্মরণসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিপিএমসিএ’র মহাসচিব ডা. আনোয়ার হোসেন খান, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার, আবুল মাল আব্দুল মুহিতের বোন জাতীয় অধ্যাপক ডা. শায়লা খাতুন প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ