ডিজেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর পর এবার সড়ক পথে পণ্য ও যাত্রী ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে পরিবহন মালিকরা। ভাড়া না বাড়ানো হলে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) থেকে সারা দেশে পরিবহন ধর্মঘট শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
এ পরিস্থিতিতে আজ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয়ে একটি বৈঠক হতে পারে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনও বিকেলে বৈঠকে বসছে বলে জানা গেছে।
এদিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম না কমালে সারা দেশে পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ড ভ্যান ট্যাংক লরি প্রাইম মুভার মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমরা কোনো পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দিইনি। তবে পরিবহন মালিকরা গাড়ি চালাতে চাইছেন না। আমরা বিআরটিএ চেয়ারম্যানের কাছে ভাড়া বাড়ানোর জন্য চিঠি দিয়ে বলেছি, জরুরিভিত্তিতে বাস ও অন্যান্য গণপরিবহনের ভাড়া বাড়াতে হবে। কারণ ডিজেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ায় মালিকরা পরিবহন চালাতে গিয়ে ভর্তুকির শিকার হবেন। মুনাফার বদলে তারা ভর্তুকি দিতে রাজি নন।
বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে জ্বালানি তেলের দাম ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে থাকায় ‘লোকসান কমাতে’ দেশের বাজারেও এই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ক্রমবর্ধমান। বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়মিত সমন্বয় করছে। গত ১ নভেম্বর ভারতে ডিজেলের বাজার মূল্য প্রতি লিটার ১২৪.৪১ টাকা বা ১০১.৫৬ রূপি ছিল। অথচ বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৬৫ টাকা অর্থাৎ লিটার প্রতি ৫৯.৪১ টাকা কম।