জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন শিশুরাই হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তনের নিয়ামক। শিশু ও নীতি-নির্ধারকদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করছে শিশুদের জলবায়ু ঘোষণাপত্র।
শিশুরা কি গ্রহ ও পৃথিবী চায়, তা নীতি-নির্ধারকদের জানাতে পারছে।
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে শিশুদের চিন্তাধারাকে কপ২৬ এর বৈশ্বিক এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে নেতৃত্ব দিতে পারে বলে মন্তব্য করেন স্পিকার।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডিহলে ইউনিসেফ বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শিশুদের জলবায়ু ঘোষণাপত্র হস্তান্তর’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন।
পার্লামেন্টারি ককাস অন চাইল্ড রাইটসের সভাপতি ও সংসদ সদস্য (এমপি) মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এবং এমপি আরমা দত্ত বক্তব্য দেন।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ফোরামে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। যেসব দেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু, এ রূপ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী নয়, তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী গুরুদায়িত্ব পালন করছেন। তিনিই প্রথম নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন। বহুমুখী পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে তিনি ‘চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ’ পুরস্কার পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী সব জলবায়ু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি, যদিও বাংলাদেশের জন্য দায়ী নয়। ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ ইউএনএফসিসি নীতিমালা অনুসরণ করে আসছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি, গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ ইত্যাদি কোনো বিষয়েই বাংলাদেশ দায়ী নয়। তবুও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের প্রচুর বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন জরুরি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বৈশ্বিকভাবে সবার সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।