কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।
রানওয়ের সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ রানওয়ে হতে যাচ্ছে এই বিমানবন্দর। যেখানে সমুদ্রের লোনা জল ছুঁয়ে রানওয়ে স্পর্শ করবে দেশি-বিদেশি বিমান। আকাশে উড়ালও দেবে সাগরের জল ছুঁয়ে।
বর্তমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ। একে সম্প্রসারণ করে ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নিত করা হবে। এর মধ্যে ১ হাজার ৩০০ ফুট রানওয়ে থাকবে সমুদ্রের মধ্যে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করতে বঙ্গোপসাগরের তলদেশে ব্লক তৈরি করে বাড়ানো হচ্ছে এই রানওয়ে।
মহেশখালী চ্যানেলের দিকে জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সম্প্রসারিত হচ্ছে রানওয়েটি। এই নির্মাণকাজের দায়িত্ব পেয়েছে চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর, ৭৪৭-৪০০ ও এয়ারবাসের মতো উড়োজাহাজ সহজেই ওঠানামা করতে পারবে। প্রকল্পের ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। যার পুরোটাই অর্থায়ন করছে বেবিচক।