প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে বাংলাদেশের খুলনার রামপালে নির্মিত মৈত্রী বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুই নেতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ইউনিট-১ ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রটি স্থাপন করছে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। দেড় বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পটি মূলত ভারতের এনটিপিসি এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একটি যৌথ উদ্যোগ।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধনের আগে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সাতটি সমঝোতা স্মারক বিনিময় হয়। হায়দরাবাদ হাউজে তাদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এসব সমঝোতা স্মারক সই হয়।
দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বর্ধিত বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, রোহিঙ্গা সমস্যা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার প্রতিরোধে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে সংকট কাটিয়ে উঠতে বর্ধিত সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে হায়দ্রাবাদ হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান নরেন্দ্র মোদি। তাকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্ড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এসময় দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। আলোচনা শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে হায়দ্রাবাদ হাউজে নরেন্দ্র মোদি আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে তার যোগদানের কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছান। ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
খবর বাসস