আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে আসা না আসা যে কোন দলের নিজস্ব সিদ্ধান্তের ব্যাপার, কিন্তু নির্বাচন হতে না দেয়ার আস্ফালন করে লাভ নেই।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) তিনি নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে একথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন যতই বাধা আসুক সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সরকার নাকি আন্দোলনে ভীত, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য কমেডি ক্লাবের জন্য যুৎসই হতে পারে কিন্তু দেশের বাস্তবতার সঙ্গে কোন মিল নেই এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে কোথায় তাদের আন্দোলন? কোথায় তাদের উত্তাপ? জনগণতো কিছু দেখছে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একবার শুনি রাজপথ দখলে নিবে, আবার শুনি সরকারকে টেনে নামাবে, কখনো শুনি নির্বাচন হতে দিবে না। আসলে বিএনপির সক্ষমতা কতটুকু তা আমাদের জানা আছে।
বিএনপি নেতাদের প্রতিদিন অভিন্ন বক্তব্য, হুমকি-ধামকি শুনতে শুনতে জনগণ এখন হাসে বলেও মনে করেন তিনি।
বৈশ্বিক সংকটের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির সরবরাহে অস্থিতিশীলতা ও মূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এ সংকট কোন দেশের নয়, এ সংকট সারা বিশ্বের।
মন্ত্রী বলেন, এ বাস্তবতা অনুধাবন না করে বিএনপি ও তার দোসররা শুধু বাংলাদেশ সরকারকে দায়ী করছেন।
বিএনপি নেতাদের কথায় কথায় দুর্নীতি আর লুটপাটের কথা বলা বিষয়ে ওবায়দুল কাদের তাদের উদ্দেশে বলেন, অন্ধকারে ঢিল না ছুঁড়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দিয়ে বলুন কোথায়, কারা, কে দুর্নীতি করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্নীতির প্রশ্নে শেখ হাসিনা সরকারের শূন্য সহিষ্ণুতা নীতির কোন নড়চড় হয়নি।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পরিবহন ভাড়া সমন্বয় করা হয়েছে কিন্তু কোন কোন পরিবহন বাড়তি ভাড়া আদায় করছে এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, পরিবহন মালিক শ্রমিকগণ সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকছেন, তারাসহ বৈঠক করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা বাস্তবে প্রয়োগ করবেন।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, যারা সমন্বয়কৃত ভাড়ার বেশি আদায়ের চেষ্টা করছেন আমাদের মনিটরিং এর আওতায় তারা রয়েছেন, তাই আবারো তাদের সহযোগিতা চাচ্ছি, অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
পরিবহনে যারা পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ ও ডাকাতির মত ঘটনা ঘটায় তাদের গণশত্রু আখ্যায়িত করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করছে। এদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।