অনেকটাই টালমাটাল সার্বিক অর্থনীতি। ডলার বিনিময় হারের ওঠা-নামা ভাবিয়ে তুলেছে সব খাতকে। এরই ধারাবাহিকতায় ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হারের ওঠা নামায় অস্থির দেশের স্বর্ণের বাজার। সম্প্রতি এর রেকর্ড দাম নির্ধারণ করে বাজুস।
এর মাঝেই অভ্যন্তরীণ স্বর্ণের বাজারে লেগেছে মন্দার হাওয়া। আক্ষরিক অর্থে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে নেই দেশের বাজারের স্বর্ণ লেনদেন। তবু কেন করা হয় দাম সমন্বয়?
এমন প্রশ্নের ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন জানায়, ব্যাগেজ রুলই এই খাতের ভরসা। আমদানি না থাকায় স্বর্ণের চাহিদা মেটাতে হয় এখান থেকেই। সঙ্গ দেয় তেজাবী স্বর্ণের পুনঃব্যবহার। ফলে বিকিকিনি হচ্ছে আন্তর্জাতিক দাম ধরেই।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই স্বর্ণের দাম বেড়েছে দুই বার। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ৬৬৫ ডলার বা ৬৩ হাজার ১৭৫ টাকা। এর আগে প্রায় সাড়ে ৮২ হাজার টাকায় স্বর্ণ বিক্রি হয়। সময় পেরিয়ে এখন পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ ৮৪ হাজারের বেশি উঠে দাম। ফলাফল আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দেশের বাজারের স্বর্ণের পার্থক্য প্রায় ২০ হাজার টাকা। এর জন্য ডলার ও দিরহামের বিপরীতে টাকার মানের তফাতকেই দুষছে বাজুস।
স্বর্ণের বাজারে অস্থিতিশীলতায় সবচেয়ে বেশি ভুগছেন ব্যবসায়ীরাই। মাসের ব্যবধানে বিক্রি নেমেছে প্রায় এক তৃতীয়াংশে। তবে বেড়েছে স্বর্ণ পরিবর্তনের পরিমাণ।
চলতি বছরে ৯ বার দাম বাড়ার বিপরীতে স্বর্ণের দাম কমেছে মাত্র ৬ বার।