বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

লকডাউনের দ্বিতীয় দিন: সড়ক ফাঁকা জমজমাট অলিগলি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : জুলাই ২, ২০২১

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সড়কে নেই সাধারণ মানুষের চলাচল। মানুষ আর যানবাহনের কোলাহলপূর্ণ সড়কে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। ছুটির দিন, কঠোর লকডাউন এবং টিপটিপ বৃষ্টি, তিনে মিলে জনশূন্য রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো। তবে রাজধানীর অলিগলিতে জমজমাট লোকসমাগমে।

শুক্রবার (২ জুলাই) রাজধানীর পান্থপথ, আসাদগেটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে সড়কের পাশের দোকানপাট ও অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠান। সড়কগুলোয় ছিল না মানুষের চলাচল। তবে লকডাউনের বিধিনিষেধ সর্বাত্মকভাবে পালন করাতে সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়।

যদিও বৃষ্টির কারণে পুলিশের চেক পোস্টগুলোয় তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। এছাড়াও সড়কে পুলিশের টহল গাড়ি, জরুরি খাদ্য ও পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স, গুটিকয়েক প্রাইভেটকার ও রিকশা ছাড়া অন্য তেমন কোনো যানবাহন দেখা যায়নি।

তবে ভিন্ন চিত্র ছিল আবাসিক এলাকার অলিগলিতে। রাজধানীর মূল সড়কের পার্শ্ববর্তী সব দোকানপাট বন্ধ থাকলেও খোলা রয়েছে এলাকাভিত্তিক দোকানপাট এবং বাজার। বাজারগুলোয় সকাল থেকেই ছিল সাধারণ মানুষের ভিড়। ছুটির দিন হওয়ায় সপ্তাহের বাজার করতে ভিড় জমাতে দেখা যায় চাকরিজীবী মানুষকে। টানা বৃষ্টিতে কিছুটা দুর্ভোগ হলেও ছাতা মাথায় নিয়ে বাজারে আসতে দেখা যায় তাদের।

বৃষ্টির কারণে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। ছবিটি ধানমন্ডি এলাকার
রাজধানীর শুক্রাবাদ বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় মুদি দোকান এবং কাঁচাবাজারগুলোয় মানুষের উপচে পড়া ভিড়। দোকানিরা বলছেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়াতে মানুষের পরিমাণ কিছুটা বেশি। তবে বৃষ্টি না হলে ক্রেতার সংখ্যা আরও বেশি হতো।

তবে এসব এলাকায় কোনোভাবে যেন স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব ভঙ্গ না হয় সে দিকে নজরদারি রয়েছে বলে জানিয়েছেন শেরে বাংলানগর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা জানে আলম মুন্সি।

তিনি বলেন, আমাদের কার্যক্রম দৃশ্যমান। সরকারের বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপনের যথাযথ বাস্তবায়নে আমরা চেষ্টা করছি। কোনো ক্রমেই যেন স্থানীয় বাজারগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ না হয় সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে এবং আমাদের নিয়মিত টহল অব্যাহত রয়েছে।

অপরদিকে লকডাউনের বিধিনিষেধ মেনে চলতে এবং করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পুলিশের পক্ষ সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে টহল গাড়ি থেকে মাইকিং করতেও দেখা যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ