রাশিয়ার রুবলের বিপরীতে আরও শক্তিশালী হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার। মূলত বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমায় মার্কিন মুদ্রার বিরুদ্ধে শক্তি খুইয়েছে রুশ মুদ্রা।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ইয়াহু নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দিন শেষে রুবলের মান কমেছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ৬১ দশমিক ৬৪ রুবলে।
চলতি বছর প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে পারফরম করা বিশ্বের সেরা মুদ্রা রুবল। পশ্চিমা মহল থেকে একাধিক অর্থনেতিক নিষেধাজ্ঞা খাওয়ার পরও ডলারের বিরুদ্ধে ক্রমশও শক্তিশালী হয়েছে রুশ মুদ্রা।
ইউক্রেনে রাশিয়া আগ্রাসন চালানোর পর বিশ্বব্যাপী তেল-গ্যাসের মূল্য বেড়ে যায়। ফলে দুই জ্বালানি পণ্য বিক্রি করে ভালো মুনাফা করে রাশিয়া।
নেপথ্যে রয়েছে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অভিনব কৌশল। দেশের ব্যবসায়ীদের ডলার এড়িয়ে রুবলে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্য করার নির্দেশ দেন তিনি। ফলে তেল-গ্যাস কিনতে রুবলে দাম পরিশোধ করতে হয় বিভিন্ন দেশকে।
কিন্তু সম্প্রতি বিশ্ববাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম। যার প্রভাব পড়েছে রুবলে। ফলে ডলারের বিপরীতে দুর্বল হয়েছে রুশ মুদ্রাও।
তবে এ পরিস্থিতি সাময়িক বলে ধরা হচ্ছে। শিগগিরই শক্তি ফিরে পাবে রুবল। কারণ, তাতেই কর পরিশোধ করতে হবে রপ্তানিকেন্দ্রিক কোম্পানিগুলোকে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রাজস্বের অংশ রুশ মুদ্রায় রূপান্তর করতে হবে।
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর ডলারের বিপরীতে রেকর্ড দর কমে রাশিয়ার কারেন্সির। গত মার্চে প্রতি ডলার বিক্রি প্রায় ১২১ রুবলে।
তবে প্রেসিডেন্ট পুতিনের নানামুখী পদক্ষেপে ঘুরে দাঁড়ায় রুশ মুদ্রা। গত জুনে এক ডলারের বিনিময় হার দাঁড়ায় প্রায় ৫০ রুবল। যা ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। কিন্তু এরপর থেকেই একটু একটু করে মূল্যমান হারাচ্ছে রাশিয়ার কারেন্সি। বিপরীতে সবল হচ্ছে ডলার।