রাজধানীর মগবাজার এলাকায় বিস্ফোরণ কাণ্ডে রাসেল নামে ২১ বছর বয়সের আরও এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১ জন।
রাসেল ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বরুয়াল গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিনের ছেলে রাসেল মগবাজারের বিস্ফোরণে ধসে পড়া রাখি নীড়ের নিচতলায় বেঙ্গল মিটের বিক্রয়কেন্দ্রে কাজ করতেন।
বার্ন ইনস্টিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পাল।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যান ৩৫ বছর বয়সী ভ্যানচালক নুরুন্নবী। বুধবার সকালে মারা যান ২৫ বছর বয়সী ইমরান হোসেন, যিনি বেঙ্গল মিটে রাসেলের সহকর্মী ছিলেন।
পার্থ শঙ্কর পাল জানান, এই তিনজনেরই শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল মগবাজারের ওই বিস্ফোরণে।
সকালে মারা যাওয়া নুরুন্নবী রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাজপুর গ্রামের ইসলাম মণ্ডলের ছেলে। ঢাকায় এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল এলাকার একটি মেসে তিনি থাকতেন। আবদুল্লাহ নামের ছয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে তার। নুরুন্নবীর স্ত্রী পপি বেগম জানান, ভ্যান চালিয়ে বাড্ডা থেকে ফেরার পথেই মগবাজারে বিস্ফোরণের মধ্যে পড়েন তার স্বামী।
বিস্ফোরণের পর সেই রাতেই মোট সাতজনের মৃত্যুর কথা জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরদিন তাদের লাশ হস্তান্তর করা হয় পরিবারের কাছে।
সেই সাতজন হলেন- কলেজ শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান (২৬), প্রাইভেটকারচালক স্বপন (৩৯), বাসচালক আবুল কাশেম মোল্লা (৪৫), বেসরকারি চাকরিজীবী রুহুল আমিন (৩০), ভবনের নিচতলায় থাকা শরমা হাউজের পাচক ওসমান গনি তুষার (৩৫), সেখানে খেতে যাওয়া জান্নাত বেগম (২৩) এবং তার নয় মাসের মেয়ে সোবহানা।
বিস্ফোরণের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন আংশিক ধসে পড়া রাখি নীড়ের তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদ হাওলাদার। মঙ্গলবার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।