বিশ্বজুড়ে ট্যালকভিত্তিক বেবি পাউডারের উৎপাদন ও বিপণন বন্ধের ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসন। আগামী বছর থেকে তা কার্যকর হবে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বেবি পাউডারে ক্যান্সারের উপাদান পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যটি বিক্রি বন্ধ করে মার্কিন হেলথকেয়ার জায়ান্ট। এবার সব দেশেই তা বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিলো তারা।
যুক্তরাষ্ট্রে জনসনের বিরুদ্ধে হাজার হাজার নারীর মামলা চলছে। তাদের অভিযোগ, এ পাউডারে ক্ষতিকর উপাদান অ্যাজবেস্টস রয়েছে। এতে ডিম্বাশ্বয়ের ক্যান্সার দানা বাঁধে। অথচ শিশুর জন্য তা সুস্বাস্থ্যকর ভাবতেন তারা।
তবে আগের অবস্থানেই অটল জনসন। মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তাদের পাউডার নিরাপদ। বহু অসংখ্য গবেষণায় তা প্রমাণিত হয়েছে।
এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি জানিয়েছে, যেসব কারখানায় ট্যালকম পাউডার তৈরি হতো, সামনে সেগুলোতে কর্নস্টার্চভিত্তিক বেবি পাউডার উৎপাদন হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে তা বিক্রি শুরু হয়েছে।
২০১৮ সালের জুলাইয়ে ২২ জন নারীকে ৪৭০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে জনসনকে নির্দেশ দেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। প্রতিষ্ঠানটির ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার এক মামলায় এ রায় দেয়া হয়।
বিশ্বব্যাপী সাবান, শ্যাম্পু, লোশন ও পাউডারসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে জনসন। বাংলাদেশেও সেগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়। তবে ওই রায়ের পর দেশে বেবি পাউডারে ক্ষতিকর উপাদান আছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখার ঘোষণা দেয় সরকারের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিএসটিআই)।