বাংলাদেশে অন্যতম ক্রিকেট তারকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বিদায় নিলেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে। এ উপলক্ষ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিন ফিল্ডিংয়ে নামার সময় সতীর্থরা তাকে গার্ড অব অনার জানায়।
টিভি ধারাভাষ্যকাররাও তার অবসরের খবরটি নিশ্চিত করে। তবে শেষ টেস্টে মাহমুদউল্লাহকে বঞ্চিত করেনি বাংলাদেশ। ২২০ রানে বড় জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা।
দেশের বাইরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় এটিই। আগের বড় জয়টিও ছিল জিম্বাবুয়েতে, ১৪৩ রানে। দেশ-বিদেশ মিলিয়ে রানের হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ছয় জয়ই এখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
রোববার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে খেলতে নামা বাংলাদেশ বোলারদের দাপটে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে সুবিধে করতে পারেনি স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। ৪৭৭ রানের লক্ষ্যে চতুর্থদিন ১৪০ রানে ৩ উইকেট হারানো দলটি এদিন দ্রুত আরও ৪টি উইকেট হারিয়ে বসে। মেহেদি হাসান মিরাজের ঘূর্ণি ও তাসকিন আহমেদের তোপে কেউই টিকতে পারেনি।
আগেরদিনের অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়া ডিওন মায়ার্স মিরাজারে বলে আউট হওয়ার আগে ২৬ রান করেন। তবে পঞ্চম দিন বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে ছিলেন ডোনাল্ড টিরিপানো। ভিক্টর নিয়াচি ও ব্লেসিং মুজারবানির সঙ্গে দুটি দারুণ জুটি উপহার দিয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমান। অবশেষে তাকে তুলে নেন এবাদত হোসেন। ১৪৪ বলে ৬টি চারে ৫২ রান করেন তিনি। শেষ অবধি ২৫৬ রানে থামে দলটির দ্বিতীয় ইনিংস।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে মিরাজ ও তাসকিন ৪টি করে উইকেট ভাগ করে নেন। প্রথম ইনিংসের ৫টির সঙ্গে এবার মিরাজের শিকার ৪টি। ১৪৮ রানে ৯ উইকেট, দেশের বাইরে বাংলাদেশের সেরা বোলিং কীর্তি এটিই। আর ৮২ রানে ৪ উইকেট তাসকিনের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এছাড়া সাকিব আল হাসান ও এবাদত একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে মাহমুদউল্লাহর ১৫০ রানের অসাধারণ ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৬৮ রান করে। জবাবে ২৭৬ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে পরে সফরকারীরা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে সাদমান ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে এক উইকেট হারিয়ে ২৮৪ রানে ইনিংস ঘোসণা করে।
বিদায়ী টেস্ট খেলা ও প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করে দারুণ অবদান রাখা মাহমুদউল্লাহকেই ম্যাচ সেরা নির্বাচিত করা হয়।