রাজধানীর বনানী থেকে মাদকসহ আটক নায়িকা পরীমণি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ চার জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাব।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) দুপুর ২টায় র্যাব সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, পরীমণির বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করা হবে। বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
বুধবার (৪ আগস্ট) রাতে র্যাব অভিযান শেষে পরীমণিকে আটক করে। আটকের পর তাকে র্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতভর সেখানেই থাকতে হয় পরীমণিকে। বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে আবারও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বিকেল ৪টার দিকে পরীমণির বাসায় অভিযানে যায় র্যাব-১ এর সদস্যরা। এ সময় তাৎক্ষণিক ফেসবুক লাইভে এসে পরীমণি বিষয়টি সবাইকে জানান। তিনি বলেন, অজ্ঞাত বিভিন্ন পোশাকের কয়েকজন ব্যক্তি বাসার বাইরে থেকে কলিং বেল দিয়ে দরজা খুলতে বলছে। আমি ভয় পাচ্ছি।
তিনি থানা-পুলিশ, ডিবির কর্মকর্তা ও তার পরিচিতদের কাছে ফোন করে তাকে বাঁচানোর আহ্বান জানান। বাইরে থেকে বারবার র্যাব তাদের পরিচয় দিলেও ভেতর থেকে দরজা খুলছিলেন না তিনি। পরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বাসার বারান্দা দিয়ে দেখে বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে ভেতর থেকে দরজা খুলে দেন পরীমণি। এরপর র্যাব সদস্যরা ভেতরে ঢোকেন এবং তল্লাশি শুরু করেন। পরে রাত ৮টার দিকে নতুন মাদক এলএসডি, আইস ও বিদেশি মদসহ পরীমণিকে আটক করে র্যাব সদরদপ্তরে নেওয়া হয়।
এরপর র্যাবের একটি দল বনানীর জি ব্লকের ৭ নম্বর রোডের ৪১ নম্বর বাসায় অভিযান শুরু করে। সেটি অভিনেতা ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বাসা। রাত ১০টা ২৫ মিনিটে নজরুল ইসলাম রাজকে বাসা থেকে বের করা হয়। এরপর তাকে র্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১০টার দিকে তার বাসা থেকে জব্দ করা মাদক ও সরঞ্জাম গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে নিয়ে আসেন র্যাব-১ এর সদস্যরা। এ সময় রাজের এক সহযোগীকেও আটক করা হয়।